চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি মেলার স্বাক্ষর জালিয়াতি মামলার আসামি বড়সলুয়ার শফিকুল গ্রেফতার

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের গড়াইটুপি মেলার মেয়াদ বৃদ্ধিতে হাইকোর্টের বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতি মামলায় বড়সলুয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ মামলার প্রধান আসামি শুকুর আলী জেলহাজতে রয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গড়াইটুপি মেলা জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। প্রতিবছর মেলাটি ৭ আষাঢ় শুরু হয়। গত বছর বিভিন্ন কারণে মেলাটি চলা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। জটিলতা কাটাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের তিতুদহ গ্রামের মৃত সোবাহানের ছেলে হাসান গাফফার সেলিম ২০১৬ সালের ১ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত মেলায় মেলায় সার্কাস যাত্রাপালা, র‌্যাফেল ড্র ও গৃহস্থালি সামগ্রীর দোকান পরিচালনার অনুমতি লাভ করে মর্মে এ ধরনের একটি আদেশনামা পুলিশ প্রশাসনের নিকট ডাকযোগে প্রেরণ করেন। যেখানে লেখা থাকে কাজল সরকার পিটিশনার ভার্সেস বাংলাদেশ অ্যান্ড আদার্স জিয়াউর রহমান প্লেটো ফর দি পিটিশনার প্রেজেন্ট এমএস জাস্টিস সালমা মাসুদ চৌধুরী অ্যান্ড জাস্টিস মো. হাবিবুল গণি পত্রের ফটোকপি। কপি হাতে পেয়ে পুলিশ পিটিশনের সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধানে নামেন। পত্রটি পর্যালোচনা করে জাল মর্মে সন্দেহ হলে গত বছর ১০ আগস্ট পুলিশ সুপার অফিসিয়াল ইমেল থেকে হাইকোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার সোহাগ রঞ্জন পালকে আদেশের কপি প্রেরণ করলে তিনি তা জাল বলে জানান। তারপরই হাইকোর্টের ভুয়া আদেশ বলে মেলা চালাতে গিয়ে শুকুর আলীসহ অর্ধশত ব্যক্তিকে মামলার আসামি করা হয়। আর মামলার তদন্তভার পড়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই মাসুদ পারভেজের ওপর। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসআই মাসুদ পারভেজ এবং হিজলগাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের এসআই লিটন গাজী অভিযান চালিয়ে এ মামলার অজ্ঞাত আসামি তিতুদহ ইউনিয়নের বড়সলুয়া গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামকে গ্রামের বেনাগাড়ি মোড়ের রশিদের চায়ের দোকান থেকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত শফিকুলকে রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানা কাস্টডিতে রাখা হয়। পুলিশ জানায়, আজ শনিবার শফিকুলকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।