দামুড়হুদার ও জীবননগর ইউনিয়ন এলাকা ভিক্ষুক মুক্ত করণ সভায় সায়মা ইউনুস

 

দারিদ্র মুক্ত দেশ গঠনে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে

দর্শনা অফিস: চোরাচালান, মাদক, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং ও নারী-শিশু পাচাররোধ মান সম্পন্ন শিক্ষার উন্নয়ন এবং ভিক্ষুক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দারিদ্র্য ও ভিক্ষুকদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকার ভিক্ষুক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গ্রহণ করেছে নানামুখি পদক্ষেপ। এরই অংশ হিসেবে প্রতিটি জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন এলাকার ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন ও জীবননগর উপজেলার বাঁকা, হাসাদাহ ও মনোহরপুর ইউনিয়নকে ভিক্ষুক মুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করেন। সভায় প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, ভিক্ষুকরা এখন আর সমাজের বোঝা নয়। তাদের স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। তাই সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা নৈতিক কর্তব্য। ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা নাফিজ সুলতানা, কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ এনামুল করিম ইনু, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, আ.লীগ নেতা বরকত আলী, মুনতাজ আলী, সুলতান বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার তোতা মিয়া, ইউপি সদস্য আ. রহমান, খায়রুল বাসার, হযরত আলী প্রমুখ। উপস্থাপনা করেন, উপজেলা নাজির হামিদুল ইসলাম। পরে ইউনিয়নের ৩৫ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ৩১ জনকে উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বাকি ৪ জনকে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সমৃদ্ধ ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ৪ লাখ টাকা প্রদান করে, বসত ঘর, গবাদী পশু ও সহব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন সমন্বয়কারী নুঝাত পারভিন জানিয়েছেন।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলার বাঁকা, হাসাদাহ ও মনোহরপুর ইউনিয়নকে ভিক্ষুক মুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে এ উপলক্ষে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ৩ ইউনিয়নকে ভিক্ষুক মুক্ত করার ঘোষণা প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ৩৫ জন ভিক্ষুকের হাতে দুটি করে ছাগল, ৩০ কেজি করে মাসিক ভিজিডি চালের কার্ড ও নগদ ৫শ’ টাকা তুলে দেয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উথলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, হাসাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক, উপজেলা সমবায় অফিসার ও কেডিকে ইউপির প্রশাসক মোতাহার হোসেন, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক উপজেলা পল্লি জীবিকায়ন প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা শামনুর রহমান ও আইটিসি কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম প্রমুখ।