শ্যালোইঞ্জিন চালিত অবৈধযান উচ্ছেদে ফের পুলিশ সক্রিয় : ৩২টি অবৈধযান আটক ॥ বঙ্গজের সামনে ইজিবাইকচালক যাত্রীকে পিটুনি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার প্রধান প্রধান সড়ক থেকে আবারও অবৈধযান উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের পরদিন গতকাল বুধবার ট্রাফিক ও থানা পুলিশ সড়কে নামে। অবৈধযানের পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকেরও চলাচল পৌর শহরের মধ্যে সীমিত করা হয়েছে। এ নিয়ম ভেঙে গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের দৌলাতদিয়াড় বঙ্গজের নিকট এক ইজিবাইকচালক পুলিশি পিটুনির শিকার হয়েছেন। দৃশ্য দেখে এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষোভের আগুনে জ্বলে ওঠে। তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেন।
মাঝে মাঝেই পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ প্রধান প্রধান সড়ক থেকে অবৈধ করিমন নসিমন বন্ধের দাবি জানিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়। প্রশাসন-পুলিশের তরফে এ দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়া হলে ধর্মঘট স্থগিত বা প্রত্যহার করা হয়। কিছুদিন পুলিশি তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়। গতপরশু পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের পরদিন গতকাল ছিলো সেই পুরোনো চিত্ররই যেন পুনরাবৃত্তি। সকাল থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রবেশ মুখগুলোতে তথা মেহেরপুর সড়কের বঙ্গজের নিকট, দর্শনা সড়কের পুলিশ লাইনের সামনে ও আলমডাঙ্গা সড়কের ছাগলখামারের নিকট পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়। শ্যালোইঞ্জিনচালিত অবৈধ করিমন, নসিমন আলমসাধু বা ভটভটি শহরের দিকে ছুটতে দেখা গেলেই পুলিশ আঁড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ ছেড়ে দিলেও ৩২টি আটক করে থানা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। আটককৃত অবৈধযানের মধ্যে রয়েছে করিমন, পাখিভ্যান ও আলমসাধু। এসব অবৈধযান প্রধান প্রধান সড়কে চালানো বারণ করার পাশাপাশি ব্যটারি চালিত ইজিবাইক পৌর শহরের ভেতরে চালানোর জন্য বলা হয়। যাত্রী নিয়ে দূরের ভাড়ায় গেলেই পুলিশ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বেলা ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের হাতিকাটা থেকে দুজন যাত্রী নিয়ে শহরের দিকে আসছিলেন ইজিবাইক চালক মিজান। তিনি বঙ্গজের নিকট পৌঁছুলে পুলিশ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। প্রতিবাদ করতেই মিজানকে পুলিশ পিটুনি শুরু করে। এক যাত্রীও লাঞ্ছিত হন।
স্থানীয়রা বলেছেন, পুলিশ শুধু ওই মিজানুরেরকেই মারেনি, গতকাল সারাদিনে বেশ ক’জন ইজিবাইক চালককে পিটিয়েছে পুলিশ। দৃশ্য দেখে স্থানীয়দের অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা আসা বাসের একটিও হাতিকাটা মোড়ে ঠিক মতো দাাঁড়ায় না। তাহলে হাতিকাটার যাত্রীরা, স্কুলপড়–য়ারা যাকে কিসে। ইজিবাইক বঙ্গজ পর্যন্ত নয়, হাতিকাটা মোড় পর্যন্ত চলাচলের সুযোগ দেয়া দরকার। অনথ্যথায় পুলিশের এ আচরণ রুখতে বাধ্য হবে এলাকাবাসী।