বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি

 

স্টাফ রিপোর্টার: আবারও আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছয় সদস্যের সার্চ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সদিক, অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক শিরিন আখতার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এই কমিটি গঠন করেন তবে দুইজন বিচারপতির নাম চূড়ান্ত করা হয় প্রধান বিচারপতির সাথে পরার্শক্রমে। গতকাল বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে সার্চ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিমকোর্টের সাথে পরামর্শ করে সার-সংক্ষেপ আকারে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য নিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর তাতে আবার রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে পরে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে সম্ভাব্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন কমিশনার খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সার্চ কমিটি প্রতিটি নামের বিপরীতে দুইজনের নাম প্রস্তাব বা সুপারিশ করবে। রাষ্ট্রপতি তা থেকে একজন করে নাম চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠালে এ বিভাগ থেকে কমিশনারদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। ২০১৩ সালে প্রথম সার্চ কমিটির মাধ্যমে দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার অনুসন্ধান করার প্রথা চালু হয়। সংবিধান অনুযায়ী আইন না করায় রাষ্ট্রপতির নিজস্ব কর্তৃত্ববলে এই সার্চ কমিটির প্রথা চালু করেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। কমিটির সদস্য ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, পিএসসির চেয়ারম্যান আহমেদুল হক, অডিটর জেনারেল আতাউল হাকিম।

আগামী ৮ ফেরুয়ারি বর্তমান রকিব উদ্দিন কমিশনের পাঁচ বছরের মেয়াদের অবসান হবে। অবশ্য একজন কমিশনার একেএম শাহনেওয়াজের মেয়াদ শেষ হবে ১৫ ফেরুয়ারি। কারণ তিনি যোগ দিয়েছিলেন পরে। প্রথমবার সার্চ কমিটি গঠনের আগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তত্কালীন বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করেছিলেন। যদিও পরবর্তীতে সার্চ কমিটি বা কমিশন গঠনের সময়ে আলোচনায় অংশ নেয়াদের পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ আনেন। বাংলাদেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে কোনো আইন নেই। আসন্ন ইসি পুনর্গঠনের প্রাক্কালে আইন করার জন্য জোরালো দাবি উত্থাপিত হয়। এরকম বাস্তবতায় রাষ্ট্রপতির আহ্বানে বড়-ছোট প্রায় সকল রাজনৈতিক দল ইসি পুনর্গঠনে সংলাপে অংশ নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করে।