সব অভিযোগ অস্বীকার সানির
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানি তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সানি অভিযোগ অস্বীকার করেন। সানির দাবি, ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেননি। আপত্তিকর কোনো ছবিও ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠাননি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. ইয়াহিয়া বলেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় কথার গুরুত্ব কম। মোহাম্মদপুর থানায় আরাফাত সানিকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার বাদী ওই নারীর মোবাইল ফোন সেট আলামত হিসেবে তারা জব্দ করেছেন। সেটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানো হয়েছে। মোবাইলে কে ছবি পাঠিয়েছেন, কীভাবে পাঠিয়েছেন, সব জানা যাবে। গত রোববার সকালে আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। পরে সকাল ১১টার দিকে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা এক নারীর মামলায় আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালতে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানিয়েছেন, ৫ জানুয়ারি নাসরিন সুলতানা নামের এক তরুণী সানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তার দাবি, সানির সঙ্গে তার বৈবাহিক সম্পর্ক আছে। তাদের অন্তরঙ্গ কিছু ছবি সানি ফেসবুকসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন। গত রোববার আরাফাতের আইনজীবীরা আদালতে বলেছিলেন, আরাফাত ওই নারীকে বিয়ে করেননি। এর পরপরই ওই নারীর আইনজীবীরা আদালতে বিয়ের একটি কাবিননামা দাখিল করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াহিয়া বলছেন, কাবিননামার সত্যতা যাচাই হবে। মোহাম্মদপুর থানার ওসি জানান, ৫ জানুয়ারি মামলাটি করেন ওই তরুণী।
জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে এবার যৌতুকের মামলা করেছেন ওই নারী। গতকাল সোমবার ঢাকার মহনগর হাকিমের আদালতে তিনি এ মামলা করেন। বিচারক রায়হানুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে আরাফাত সানির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। ক্রিকেটার সানির সঙ্গে বাদীর বিয়ে হয় ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর। বিয়ের পর তারা বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে বসবাস করেন। কিন্তু সানির পরিবার বিয়ে মেনে নিতে চাননি। পরে সানি বাদীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদীকে বলেন, টাকা দিলে তার মা বাদীকে ঘরে তুলে নেবেন। মামলার আরজিতে এই অভিযোগ এনেছেন ওই নারী। বাদীর আইনজীবী রফিকুল বলেন, সকালে আদালত বাদীর বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। আরাফাত সানি ও তার মা নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত শুধু সানির বিরুদ্ধে মামলা আমলে নিয়েছেন।
এর আগে ওই নারীরই করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গত রোববার আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি মোহাম্মদপুর থানা হেফাজতে রয়েছেন। আরাফাত সানিকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশের কাছে আরাফাত দাবি করেছেন, ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেননি। আপত্তিকর কোন ছবিও ফেসবুক মেসেঞ্জার পাঠাননি। পুলিশ বলছে, তদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি আইন মামলায় রিমান্ডে থাকা আরাফাত সানি দোষী প্রামাণিত হলে ক্রিকেট বোর্ড তার পাশে থাকবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এ শীর্ষ কর্মকর্তা এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আরাফাত সানির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় বিসিবি খুবই বিব্রত। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে সানির পাশে বোর্ড থাকবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। আরাফাত সানি ছাড়াও বিপিএল চলাকালীন ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান ও পেসার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে নারীঘটিত কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। শাস্তিস্বরূপ তাদের মোটাঅঙ্কের অর্থ জরিমানা করে বিসিবি। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেন নাজনিন আক্তার হ্যাপি নামের এক অভিনেত্রী।
টেস্টেও হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টির পর শাদা পোশাকের খেলাতেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সফরকারীরা। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ১০৯ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। যদিও শুরুটা দর্দুান্ত করেছিলো দু ওপেনার টম ল্যাথাম ও জিত রাভাল। তবে দলীয় ৫৬ রানে রাব্বির বলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্ড হয়ে ফেরেন রাভাল। রাভালের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। আর দলকে জয় পাইয়ে মাঠ ছাড়েন ল্যাথাম ও গ্র্যান্ডহোম। ১৯ তম ওভারে নাজমুলের বলে পর পর দুটি ছয় মেরে জয় নিশ্চিত করেন গ্র্যান্ডহোম। ল্যাথাম সর্বোচ্চ ৪১ রান আর গ্র্যান্ডহোম ১৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৮ উইকেট নিয়ে এই টেস্টে ম্যাচসেরা হন টিম সাউদি।
চোটে ভুগছেন রিয়ালের মার্সেলো ও মদ্রিচ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: রিয়াল মাদ্রিদের দুই নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় লুকা মদ্রিচ ও মার্সেলোর চোটের ধরণ নিশ্চিত করেছে ক্লাবটির কর্তৃপক্ষ। ক্লাবটির পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার মদ্রিচ অ্যাবডাক্টর ও ব্রাজিলের ডিফেন্ডার মার্সেলো হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভুগছেন। এ দু খেলোয়াড়ের চোটে অনেকটা হতাশ রিয়াল কোচ। কেননা চোটের কারণে আগে থেকেই দলের বাইরে আছেন গ্যারেথ বেল, হামেস রদ্রিগেস, দানি কারভাহাল, পেপে, দানিলো ও ফাবিও কোয়েন্ত্রাও। মার্সেলো ও মদ্রিচ কতদিন মাঠের বাইরে থাকবে তা জানায়নি রিয়াল। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার কোপা দেল রের কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে খেলতে পারবেন না তারা।