পুলিশি রিমান্ডে রয়েল এক্সপ্রেসের ওই নৈশকোচের চালক হেল্পার

যাত্রীর যৌন নিপীড়ন মামলা : সুপারভাইজার মিল্টনকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে অজ্ঞাত স্থানে
স্টাফ রিপোর্টার: রয়েল এক্সপ্রেসের সুপারভাইজার মিল্টনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গতকাল সকাল হওয়ার আগেই তাকে সরিয়ে নেয়া হয়। হাসপাতালের মেল মেডিসিন ওয়ার্ডের কয়েক রোগী এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, রাতেই সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তার নিকটজনেরা। অপরদিকে রয়েল এক্সপ্রেসের ওই নৈশ কোচের চালক কুতুব উদ্দীন ও হেলপার মিলনকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে দারুস সালাম থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
দারুস সালাম থানার ওসি বলেছেন, মূল আসামি মিল্টনকে গ্রেফতার করতে চুয়াডাঙ্গায় বেতারবার্তা প্রেরণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রয়েল এক্সপেসের ওই কোচটিও থানা হেফাজতে রয়েছে। রয়েল এক্সপ্রেসের ওই কোচটি শুক্রবার রাত ৭টায় আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া থেকে ছাড়ে। চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। চুয়াডাঙ্গা থেকে এক যুবতী যাত্রীকে তুলে দেয়া হয় কোচে। কোচের একেবারে পেছনের সিটে বসে সে। যাত্রীদের অভিযোগ, যুবতী ঘুমিয়ে ছিলো। পাশে বসে সুপারভাইজার পোশাকই শুধু খোলেনি, যৌন নিপড়ন করে। যাত্রীরা দেখে সুপারভাইজার মিল্টনকে মারপিট করে। নবীননগরের নিকট কোচের গতী কমালে সে নেমে যায়। ওই সময়ই যাত্রীরা কোচের হেলপার ও চালককে দোষারোপ করতে থাকে। থানায় নালিশ করলে পুলিশ দ্রুত কোচসহ চালক ও হেল্পারকে আটক করে। যুবতীকে থানায় নেয়া হয়। মামলায় রোববার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত একদিরেন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল সোমবার চালক কুতুব উদ্দীন ও হেলপার মিলনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ দুজনকেই পুনরায় আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে। এদিকে চলন্ত কোচ থেকে সটকে পড়ে মিল্টন চুয়াডাঙ্গায় ফেরে। গতপরশু রোববার সন্ধ্যার পর সে তার বোনরে বাড়ি আলমডাঙ্গার মাঝহাদে গিয়ে বিষপান করে। নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বিষয়টি গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওদিকে সকাল হওয়ার আগেই তাকে হাসপাতাল থেকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুবতী চুয়াডাঙ্গায় কেন এসেছিলো তা অজ্ঞাত। গত শুক্রবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা রেলাপাড়ার রেললাইনে রেলের পেছনে ছুটতে দেখে কয়েক যুবক তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে তাকে দেয়া হয় এক নারীর কাছে। সকলে মিলে কিছু টাকা গচ্ছিত করে যুবতীর ঢাকায় ফেরার টিকেট করে দেন। ঢাকার পথে চলন্ত কোচেই ঘটে ঘটনা। সুপারভাইজার মিল্টন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ইব্রাহিমপুরে …. ছেলে।