স্টাফ রিপোর্টার: নিজের পালা ষাঁড়ের শিঙের উপর্যুপরি আঘাতে গুরুতর জখম সেই জামাল উদ্দীন সুস্থতা ফিরিয়ে পেয়েছেন। সুস্থ হয়ে উঠতে বহু ঘাত প্রতিঘাতই তাকে সহ্য করতে হয়নি, গচ্চা দিতে হয়েছে বহু অর্থ। অবশেষে তিনি প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
জামাল উদ্দীন চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মোজাম্মেল হকের ছেলে। ৭০ বছর বয়সী জামাল উদ্দীন আনুমানিক ৭ মাস আগে নিজের পালিত একটি ষাঁড় ঘাস খাওয়ার জন্য খুটিতে বাঁধেন। পেছন থেকে ষাঁড়টি আক্রমণ করে। শিং দিয়ে আছড়ে ফেলে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। ঘাড়, পিঠসহ পুরো শরীরটাই গুড়িয়ে যায়। প্রথমে নেয়া হয় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এরপর বহু চিকিৎসকের নিকট নিয়ে সুস্থ করে তোরার প্রাণান্ত চেষ্টা চলে। যেমন চেষ্টা চলতে থাকে তেমনই কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ হতে থাকে। সাধারণ কৃষক জামাল উদ্দীনের শরীর এক পর্যায়ে অসাড় হয়ে পড়ে। অবশেষে তাকে নেয়া হয় প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কস্থ চেম্বারে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান, অপারেশন করলে সুস্থতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডা. মেহেদীর ঢাকা মোহাম্মদপুরস্থ প্লাজমা মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে নিয়ে স্বল্পখরচে অপারেশন করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে তিনি সুস্থতা পেতে শুরু করেন।
জটিল রোগ থেকে পরিত্রাণ পেয়ে জামাল উদ্দীনসহ তার পরিবারের সদস্যরা যেমন চিকিৎসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, তেমনই চিকিৎসক মহান সৃষ্টি কর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এ সফলতা তার পিতা চুয়াডাঙ্গা হাজরাহাটির মরহুম মোরাদ হোসেন ও মাতা মরহুমা হাজেরা মুরাদের প্রতি উৎসর্গ করে এলাকাবাসীর নিকট থেকে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।