হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে

 

ঠিকই তো, সেবার ব্রত নিয়ে যারা দিন-রাত পরিশ্রম করছেন, পালন করছেন গুরুদায়িত্ব তাদের নিরাপত্তা তো সকলের আগেই নিশ্চিত করা উচিত। তাহলে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সার্বক্ষণিক পুলিশ রাখা বা থাকার ব্যবস্থা নেই কেন? বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সার্বক্ষণিক পুলিশ রাখার স্থায়ী সিদ্ধান্ত এখন শোভাবর্ধন বা বিলাসিতা নয়, জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

শুধু নেশাখোরদের উৎপাত রুখতেই নয়, মাঝে মাঝেই তো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর ওপরও সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। যদিও দায় এড়ানোর জন্য এ বিষয়টিকে কখনোই তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রোগী, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট প্রায় সকলে। গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এক চিকিৎসকের আতঙ্কগ্রস্ততাসহ পুলিশ ডেকে অপেক্ষার অসহায়ত্বটাও উঠে এসেছে। এর আগেও চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের তরফে নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে হাসপাতালে পুলিশ বক্স স্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সে অনুরোধ আদৌ কর্তার কর্ণপাত হয়েছে কি-না কে জানে? অবশ্য কর্তার কর্ণপাত হলেও অপ্রতুলতার কারণে দায় এড়ানোর উদাসীনতাটাও যে থাকতে পারে তা অস্বীকার করা যায় না। তারপরও হাসপাতাল ও হাসপাতাল সড়কের নিরাপত্তা সর্বাগ্রে সর্বাধিক গুরুত্বের সাথেই বিবেচনা করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবি রাখে। হাসপাতালের চিকিৎসাধীনের ওপর হামলা কিংবা নেশাগ্রস্তদের উগ্র উৎপাত কি কোনো সভ্য সমাজের চিত্র? ন্যূনতম নীতি-নৈতিকতা থাকলে কি নির্লজ্জ কর্মকাণ্ড বাড়ে?

যদিও সব সময় সকল ক্ষেত্রে সর্বস্তরের নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশের ওপর ছেড়ে দিয়ে বসে থাকা সচেতন সমাজের কাজ নয়। বর্তমান সরকার পুলিশকে ঢেলে সাজাচ্ছে। অপ্রতুলতা দূর করার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগের মাঝে সেবাদান প্রতিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই ভাবতে হবে, কেননা নৈতিকতার স্খলন রোধ দূরহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।