সাংবাদিকদের সাথে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মতবিনিময়
স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের আলোকে পিএসপি কর্তৃক সরাসরি নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ, জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডার বহির্ভুত রেখে তাদের জন্য আলাদা বিধিবিধান প্রণয়ন বিষয়ে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহের নেতৃবৃন্দ।
গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংগঠনের চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম, জাহিদুল হাসান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ইউনিটের সহসম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মতিউর রহমান, জাহিদুল হাসান, রেজাউল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মফিজ উদ্দিন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের সরকারি কলেজে বদলি করলে তারা বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের সমমর্যাদা পেয়ে যাবেন। এতে বিসিএস ক্যাডারদের মান ক্ষুণ্ণ হবে। তাই জাতীয়করণ কলেজের শিক্ষকদের বদলি না করে সেই প্রতিষ্ঠানেই রাখাতে হবে। প্রয়োজনে তাদের জন্য আলাদা বিধিবিধান প্রণয়ন করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষা ক্যাডারদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কঠোর কর্মসূচি প্রদানের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলানয়তনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান শিক্ষকরা। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতির নেতা প্রফেসর মহব্বত হোসেন টিপু, শৈলকুপা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সোবহান, কোটচাঁদপুর সরকারি কেএমএইচ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ, সরকারি কেসি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আসাদ-উজ-জামান, শিক্ষক নেতা মিজানুর রহমান, আবু তাহের, মনিরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্র থেকে পাঠানো লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতির ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সম্পাদক অনুতোষ কুমার। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়- বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের ফলে সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষকগণ ক্যাডারভুক্তি হচ্ছেন। যে কারণে সরাসরি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ চরম বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। এ সমস্যার হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। তাদের এই ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করা হলে দেশের ১৫ হাজার শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।