আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা ফুলবগাদী করিমনের ধাক্কায় নিহত তন্নীর জীবনের দাম মাত্র ৩০ হাজার টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফুলবগাদী গ্রামের ইউপি সদস্য সেলিম ও গ্রামের মাতুব্বাররা রফিকুলের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিপানা আদায় করেছে। বুধবার বিকেলে গাংনী-মুন্সিগঞ্জ সড়কে ফুলবগাদী গ্রামের ঈদাগা মোড়ে করিমনের ধাক্কায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নিহত হয়।
জানা গেছে, ফুলবগাদী গ্রামের তুফাজ্জেল ওরফে তনুর দুই মেয়ে বড় মেয়ে তন্নী (১০)। তন্নী ফুলবগাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর প্রাইভেড পড়ে বাড়ি ফেরে। গত বুধবার স্কুল শেষ করে তন্নী প্রাইভেড পরতে যাচ্ছিলো। তন্নী গ্রামের ঈদাগা মোড়ে পৌঁছুলে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেে
ড় যাওয়া যাত্রীবোঝাই করিমন নিয়ে ঘাতক চালক একই গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে রফিকুল দ্রুত গতিতে গিয়ে তন্নীকে ধাক্কা মারে। এ সময় তন্নী করিমনের ধাক্কায় ছিটকিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে তন্নীর লাশ বাড়িতে নেয়া হয়। তন্নীর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ফুলবগাদী গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। বুধবার রাত ২টার দিকে তন্নীর লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গ্রাম্যসূত্রে জানা গেছে. গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে করিমন চালক রফিকুলকে ডেকে নিয়ে ফুলবগাধী গ্রামের সালিস বসে। সালিসে ফুলবগাদী গ্রামের ইউপি সদস্য সেলিম ও গ্রামের মাতুব্বাররা রফিকুলকে ৩০ হাজার টাকা জরিপানা করে।
ফুলবগাদী গ্রামের ইউপি সদস্য সেলিম জানান, দুটি পরিবারই গরিব। আর এ বিষয়ে তন্নীর পিতা-মাতার পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না করায় স্থানীয়ভাবে সবাই বসে রফিকুলের নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তন্নীর পিতা-মাতার হাতে দেয়া হয়েছে।