চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহ মানিকদিহি মাঠের কলাবাগান থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
ডিঙ্গেদহ/সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা ডিঙ্গেদহের মানিকদিহি মাঠেই কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে খুন? নাকি অন্য স্থানে খুন করে মৃতদেহ নিয়ে মানিকদিহির ভরাডুবির বাগানমাঠের কলাবাগানে ফেলে রাখা হয়েছে? পুলিশ এসব প্রশ্নের জবাব খোঁজার পাশাপাশি আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
গতকাল রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ডিঙ্গেদহ মানিকদিহির ভরাডুবির বাগানের মাঠের আশকার আলীর কলাবাগান থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মাঠে ঘাস কেটে বাড়ি ফেরা এক নারী দেখে প্রথমে তাড়ি খেয়ে পড়ে আছে বলে অনুমান করলেও পরে দেখা যায় অজ্ঞাত পরিচয়ের যুবকের মৃতদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে নেয়। গতকালই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে পরিচয় না মেলার কারণে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়নি। আজ সোমবার দুপুর নাগদ কেউ শনাক্ত করতে না পারে তাহলে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে আঞ্জুমান-মফিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা কমিটির হাতে তুলে দেয়া হবে। পুলিশ এরকমই তথ্য জানিয়ে বলেছে, পরিচয় পাওয়া গেলে হত্যা রহস্য দ্রুত উন্মোচন সম্ভব হবে। চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় বলেন, মৃতদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুখে ও গলায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পায়ের রগও কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খুনি শনাক্ত করতে ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ মানিকদিহির সোহরাব হোসেনের মেয়ে রোজিনা খাতুন মানিকদিহির ভরাডুবির বাগান মাঠে ঘাস কাটতে যায়। ফেরার পথে গ্রামেরই আশকার আলীর কলাবাগানের দেখতে পান একজন পড়ে আছে। বাড়ি ফিরে সে বলে, কলাবাগানে তাড়ি খেয়ে একজন পড়ে আছে। এ কথা শুনে কয়েকজন কলাবাগানে গিয়ে দেখতে পান এক যুবকের ক্ষত বিক্ষত লাশ পড়ে আছে। লাশ দেখে তেমন কেউ চিনতে পারেননি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক মাথাভাঙ্গাকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে। তবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
লাশের বিবরণ: নিহত যুবকের শারীরিক গঠন মাঝারি ধরনের। বয়স আনুমানিক ২৮ থেকে ৩০ বছর। গায়ে ছিলো ঘিয়ে রঙের ওপর সবুজ চেকের গেঞ্জি ও ধূসর রঙের জ্যাকেট। পরনে ছিলো চকলেট রঙের গ্যাভাডিন প্যান্ট। মাজায় চামড়ার বেল্ট। পায়ে ছিলো চামড়ার স্যান্ডেল। এছাড়া নিহত যুবকের ডান হাতের কুনো আঙুলসহ দুটি আঙুল কাটা এবং ডান হাতের কব্জি ভাঙা। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন আগে তার হাত কোনো কারণে ভেঙে গিয়েছে। ভাঙা স্থানে প্লাস্টার করা, তার ওপর বাঁশের কাবারি টেপ দিয়ে লাগানো।