স্টাফ রিপোর্টার: পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় নব্য জেএমবির চার সদস্য বাংলাদেশে অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করছে বলে ধারণা পেয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বাংলাদেশি গোয়েন্দাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলেছে বলেও ভারতীয় গোয়েন্দা অধিদফতরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নব্য জেএমবির এ চার সদস্য পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয়। তারা ভারত থেকে অস্ত্র ও অর্থ বাংলাদেশের অপারেশনাল ইউনিটগুলোকে সরবরাহ করছে বলে বাংলাদেশি গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় এ চারজনের মধ্যে সোহেল মাহফুজ ভারতের পূর্বাঞ্চল নব্য জেএমবির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, শরিফুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ ও জুনায়েদ খান তার সহযোগী। গত বছরের ১ জুলাই গুলশান হামলার পর এ চারজন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জ্যেষ্ঠ এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, তাদের সঙ্গে থাকা মারজান জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাংলাদেশে থেকে গিয়েছিলো। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারজান নিহত হন, তবে তাকে গুলশান হামলার মাস খানেকের মধ্যে ধরা হয়েছিল বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
মোহাম্মদপুরে মারজানের সঙ্গে সাদ্দাম নামে আরেক জঙ্গিও নিহত হন, উত্তরবঙ্গে জাপানি নাগরিক কুনিও হোসিসহ বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্রে তার নাম রয়েছে। তাকেও নয় মাস আগে ধরা হয় বলে পরিবারের দাবি। মারজানের কাছ থেকে উদ্ধার করা কাগজপত্রে তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সোহেলের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দা অধিদফতরের কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোহেল মাহফুজ ও তার সহযোগীরাই যে বাংলাদেশে ক্রিয়াশীল নব্য জেএমবি সদস্যদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করছে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা তা নিশ্চিত করেছে, এ কারণে আমরা এখন এ চারজনকে ধরতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মারজানের সাথে ভারতে তার সহযোগীদের যোগাযোগের কথা না জানালেও এর আগে বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ বলেছিল, নব্য জেএমবির সদস্যরা যে একে-২২ রাইফেল ব্যবহার করছে সেগুলো ভারত থেকে আনা। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের (এসটিএফ) এক কর্মকর্তা জানান, সোহেলসহ পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় নব্য জেএমবির সদস্যদের ধরতে অভিযান জোরদার হয়েছে চলছে। গত কয়েক মাসে আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নব্য জেএমবির যে ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে সোহেল ও তার সহযোগীদের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। বলেন, যাদের ধরেছি তাদের কাছ থেকে পলাতকদের সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছি। এ চারজনকে পাকড়াও করতে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।