স্টাফ রিপোর্টার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সবার সহযোগিতায় আমরা যেভাবে জঙ্গি তত্পরতা রুখে দিয়েছি, তেমনিভাবে সুন্দরবনসহ সাগরবক্ষের সকল জলদস্যুকে প্রতিহত করতে পারব। গতকাল শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরের দুর্ধর্ষ জলদস্যু নোয়া বাহিনীর প্রধান বাকি বিল্লাহ’র নেতৃত্বে অস্ত্রসহ ১২ সদস্যের আত্মসমর্পণ ও আর্থিক অনুদান প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা জলসদ্যুদেরও আত্মসমর্পণের আহবান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জলদস্যুদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে আত্মসমর্পণকৃত ৬০ জলদস্যুকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়। এখন তারা জামিনে আছেন। কুয়াকাটার রাখাইন মার্কেট মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এ আত্মসর্মপণের আয়োজন করেছে র্যাব-৮। র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার উজ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, বরিশালের ডিআইজি শেখ মারুফ হাসান, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সৈয়দ মোসফিকুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জলদস্যুদের হাতে নির্যাতনের শিকার পটুয়াখালীর কলাপাড়ার জেলে আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম অংশে এখনো ৮টি জলদস্যু গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তাদেরকেও আত্মসমর্পণ করতে হবে। অন্যথায় ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। নোয়া বাহিনীর প্রধান বাকি বিল্লাহ আত্মসমার্পণের পর বলেন, এত দিন অন্যায় পথে ছিলাম। এখন ভুল বুঝতে পেরেছি। আত্মসমর্পণকালে জলদস্যু বাহিনী র্যাবের কাছে ৭টি বিদেশি একনলা বন্দুক, ৮টি বিদেশি দোনলা বন্দুক, ২টি (২২ বোর) বিদেশি এয়ার রাইফেল, ৩টি ওয়ান শুটারগান, ১টি বিদেশি (২২) রাইফেল এবং ৩টি বিদেশি কাটা বন্দুকসহ ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১,১০৫ রাউন্ড গুলি জমা দিয়েছে।