মারজানের মৃত্যুতে মা-বাবার দুঃখ নেই

 

স্টাফ রিপোর্টার: নব্য জেএমবি নেতা নুরুল ইসলাম ওরফে মারজানের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার খবর জেনেছে পরিবার। তার বাবা নিজামউদ্দীন বলেছেন, মারজান কৃতকর্মের ফল পেয়েছে। এতে বাবা হিসেবে তার কোনো দুঃখ নেই। শুক্রবার দুপুরের দিকে মারজানের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে তার বাবা নিজামউদ্দীন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন। নিজামউদ্দীন বলেন, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তারা মারজানের নিহত হওয়ার খবর জেনেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে তার কৃতকর্মের ফল পেয়েছে। এতে আমার কোনো দুঃখ নেই।’ মারজানকে যে বা যারা জঙ্গিবাদের পথে নিয়ে গেছে, তাদের শাস্তি দাবি করেছেন নিজামউদ্দীন।

মারজানের মা সালমা খাতুনও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, খারাপ কাজের শাস্তি হয়েছে। মারজানের বাবা নিজামউদ্দীন বলেন, ছেলের লাশ ঢাকা থেকে গ্রামে নিয়ে আসার সামর্থ্য তার নেই। প্রশাসন যদি লাশ গ্রামে পৌঁছে দেয়, তাহলে তারা দাফন কাফনের ব্যবস্থা করবেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক সহযোগীসহ মারজান নিহত হন। বন্দুকযুদ্ধে নিহত অপরজনের নাম সাদ্দাম বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুজনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশের ভাষ্য, নব্য জেএমবির নেতা মারজান ঢাকার গুলশান হামলার ‘অপারেশন কমান্ডার’ ছিলেন। পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামের মারজান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পরিবারের ভাষ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে বিয়ে করেন মারজান। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে নিখোঁজ হন। গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে শিশুসন্তানসহ গ্রেপ্তার হন মারজানের স্ত্রী আরেফিন প্রিয়তি। একটি গোয়েন্দা সূত্রের ভাষ্য, গত বছরের এপ্রিলে মারজান নব্য জেএমবির বিভিন্ন হামলা সমন্বয় করার দায়িত্ব পান। তার সঙ্গে নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরী ও অন্যদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বা রয়েছে।