মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে চোরের উপদ্রব বেড়েই চলেছে। কোনোভাবেই আটকানো যাচ্ছে না চুরির ঘটনা। সঙ্গবদ্ধ চোরচক্র জেহালা গ্রামে হামলা চালিয়ে দরিদ্র আলমসাধুচালকের একমাত্র উপার্জনের সম্বল আলমসাধু চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া গড়চাপড়া গ্রামের এক কৃষকের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে দুটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গতপরশু মঙ্গলবার দিনগত রাতে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের জেহালা গ্রামের মৃত বাহার ম-লের ছেলে দরিদ্র আলমসাধুচালকের উপার্জনের একমাত্র সম্বল শ্যালোইঞ্জিনচালিত আলমসাধুটি চুরি করে নিয়ে গেছে সঙ্গবদ্ধ চোর চক্র। তিনি জানান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আলমসাধুটি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম দিন পনের আগে। অপরদিকে গড়চাপড়া গ্রামের জালাল উদ্দিন প্রতিদিনের মতো একটি বকন ও একটি এড়ে গরু সন্ধ্যায় গোয়ালে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। মাঝরাতে উঠে গরু দেখতে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। গরু দুটির মূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা বলে তিনি জানান।
এলাকাবাসী জানায়, বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ এলাকায় ডাকাতি কমলেও বড়েছে চুরির ঘটনা। কিছুদিন আগে মুন্সিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আসিরুল ইসলাম সেলিমের একটি পালসার মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন আগে মুন্সিগঞ্জ বাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটো চুরি করতে এসে ধাওয়া খেয়ে চোর হাইএক্স মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায়। গতপরশু জেহালা ও গড়চাপড়া গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটে। লাগাতার চুরি এড়াতে পুলিশের সহায়তা কামনা করে এলাকাবাসী আরো জানান, মুন্সিগঞ্জ এলাকায় বেড়েছে মাদক সেবি ও বিক্রেতার সংখ্যা। মুন্সিগঞ্জ জেহালা পানহাটের মধ্যে পূর্ণিমা নামের এক নারী বাংলামদ, ফেনসিডিল, ইয়াবার ব্যবসা করছে এবং তার মেয়েকে দিয়ে দেহব্যবসা করাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া গড়চাপড়ার ইনামুল, গড়গড়ির আওলাদ, দক্ষিণ গোবিন্দপুরের জামালদ্দিন ও পূর্বকমলাপুরের মাধাবীতলা নামক স্থানের মামুন এলাকার চিহিৃত হেরোইন, ইয়াবা, গাঁজাব্যবসায়ী। তাদের কারণে এলাকার মাদকসেবিরা বেপোরায়া। এলাকায় মাদকব্যবসা বন্ধ করলে চুরি-ডাকাতি বন্ধ করা সম্ভব বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য।