জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ : বেড়েছে পাসের হারসহ জিপিএ-৫

চুয়াডাঙ্গার দুটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ পাস হলেও মেহেরপুরের একটিতে করেছে হতাশ
স্টাফ রিপোর্টার: গতবারের মতো এবারও ইংরেজি ও গণিতে ভালো করেছে শিক্ষার্থীরা। কমেছে গণিত ও ইংরেজি ভীতি। যার কারণে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল এসেছে। অভিভাবকদের বাড়তি নজর, শিক্ষকদের প্রচেষ্টা আর শিক্ষার্থীদের ভালো করার আগ্রহের কারণে এবার জেএসসি ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। অন্যদিকে পিইসির ফলও সন্তোষজনক হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শতভাগ পাস করেছে। অপরদিকে মেহেরপুরে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শতভাগ পাস করলেও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শতভাগ উর্ত্তীণ হতে পারেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার একযোগে প্রকাশিত হয়েছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল। একই সাথে প্রকাশিত হয়েছে পিইসি ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার ফল। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসব পরীক্ষার ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন। পরে দুপুর ১২টায় শিক্ষামন্ত্রী এবং ১টায় প্রাাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। সারাদেশের অর্ধকোটিরও বেশি পরিবারে এখন উচ্ছ্বাস। বইছে আনন্দের বন্যা। ভালো ফল করে নেচে গেয়ে উৎসব করছে শিক্ষার্থীরা। সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত জেএসসি (অষ্টম শ্রেণি) পরীক্ষায় আটটি বোর্ডে গড় পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে অধীনে অনুষ্ঠিত জেডিসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৪ দশমিক ০২ শতাংশ। আর সার্বিক পাসের হার ৯৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। আর পিইসিতে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ ও ইবতেদায়ি সমাপনীতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ফল সংগ্রহের জন্য বাবা-মাকে নিয়ে গতকাল দুুপুরেই শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয় স্কুল প্রাঙ্গণে। ফল ঘোষণার সাথে সাথে আনন্দে মেতে ওঠে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। কোথাও কোথাও ছিলো অন্যরকম আয়োজন। স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, ড্রামের তালে তালে নেচে-গেয়ে শিশুরা বাবা-মায়ের সাথে আনন্দ করছে। ভালো ফলের কারণে অনেকের চোখে ছিলো আনন্দ অশ্রুও। মিষ্টির দোকানগুলোতেও উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
জেএসসি-জেডিসি: এবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় মোট ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫৯ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৫ জন। এরমধ্যে জেএসসিতে অংশ নেয় ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩১৬ জন, পাস করেছে ১৮ লাখ ৯১ হাজার ৪৯৬ জন। জেডিসিতে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৭৯ জন। গতবারের চেয়ে জেএসসিতে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। জেএসসিতে পাসের হার বেড়েছে দশমিক ৫৮ শতাংশ। জেডিসিতেও বেড়েছে ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এবার জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯। গতবার ছিলো ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০২ জন। এবার জেডিসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৫২৯ জন। গতবার এ সংখ্যা ছিলো ৮ হাজার ৭৬১ জন। এবারও জেএসসি এবং জেডিসিতে সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়নি।
চুয়াডাঙ্গায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শতভাগ পাস পরীক্ষার্থী পাস করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনি মোহন বিশ্বাস জানান, জেএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয় থেকে ২৮৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে এবং শতভাগ পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮৫ জন ছাত্র। চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল বারী জানান, জেএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয় থেকে ২৫৮ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাস করেছে। এরমধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১৮ জন।
সরোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এবার ১১টি বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৪৮৫ জন  ছাত্রছাত্রী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১ হাজার ৩০৯ জন। ফেল করেছে ১৭৬ জন। সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৯৬ জন জিপিএ -৫ পেয়েছে ১৫ জন ফেল করেছে ২১। ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৯০ জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৮৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। ফেল করেছে ৭। আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৮০ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৬৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন ফেল করেছে ১৩ জন। কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৬ জন ফেল করেছে ৩ জন। তিয়রবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। ফেল করেছে ২৫ জন। খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। ফেল করেছে ২৪ জন। তিতুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে থেকে ৯৯ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। ফেল করেছে ২৪ জন। গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৬ জন পাস করেছে। ডিঙ্গেদহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৩ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। শ্রীকোল-বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১০৭ জনে পাস করেছে ৮৯ জন। মোহাম্মদজমা ডিএএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৯ জন পরীক্ষীর্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৬ জন।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেএসসি পরীক্ষায় উপজেলার ৩৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩ হাজার ৪৩৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ১৭৩ জন। পাসের হার ৯২ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭২ জন। উপজেলার মধ্যে দর্শনা কেরু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৬ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলার শীর্ষস্থান লাভ করেছে। এছাড়া দামুড়হুদা পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে শতভাগ পাসসহ মোট ২৩ জন জিপিএ-৫ পেয়ে ২য় এবং কলাবাড়ি-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২৩ জন জিপিএ-৫ পেয়ে ৩য় স্থান লাভ করেছে।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, উপজেলার ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২ হাজার ৪৩ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১ হাজার ৮০৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৯ জন। পাসের হার ৮৮ ভাগ ৪৪ ভাগ। সর্বাধিক ৩০টি জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলার শীর্ষে অবস্থান করছে হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। জেডিসি পরীক্ষায় ৭টি মাদরাসা হতে ৩৮৫ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৩২৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১ জন। পাসের হার ৮৩ ভাগ ৮৯ ভাগ।
জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১৬৮ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে পাস করেছে ৮৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে পাস করেছে ১৩৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ জন। মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৫৪ জন পাস করেছে। উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৬ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হতে ৯৬ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। আন্দুলবাড়িয়া বালিকা বিদ্যালয় হতে পাস করেছে ৯০ জন। আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১০১ জন পাস করেছে। রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৭৩ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। কাশীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাস করেছে ৬৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। ধোপাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৯৫ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। করতোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৭৮ জন পাস করেছে। শাপলাকলি আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১০৪ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯ জন। বিসিকেএমপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে পাস করেছে ৯৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৯৯ জন পাস করেছে। মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে পাস করেছে ৪২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। শাহাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে পাস করেছে ৭০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। হাসাদাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হতে পাস করেছে ৩৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। হাজী মনির হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৩৮ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৪৮ জন পাস করেছে। পাঁকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে পাস করেছে ২৫ জন। সিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৫৭ জন পাস করেছে ও কাশেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে পাস করেছে ৭৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।
জেডিসি পরীক্ষায় জীবননগর উপজেলা আলিম মাদরাসা হতে ৬৭ জন পাস করেছে। হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসা হতে পাস করেছে ৫৩ জন। মাধবপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা হতে পাস করেছে ৪৪ জন। জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদরাসা হতে পাস করেছে ৫০ জন। নিধিকু-ু বাড়ান্দী দাখিল মাদরাসা হতে পাস করেছে ৪৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাঁকা দারুস সালাম দাখিল মাদরাসা হতে ৩৯ জন পাস করেছে ও আন্দুলবাড়িয়া আশরাফিয়া আলিম মাদরাসা হতে পাস করেছে ২৭ জন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে এ বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফল সন্তোজনক। গেলবারের চেয়ে পাসের হার ও জিপিএ বেড়েছে। মেহেরপুরের সরকারি দুটি বিদ্যালয়সহ উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিদ্যালয়ের ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এতে শহরের প্রায় প্রতিটি স্কুলের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা হয়। মিষ্টি বিলানোর ধুম পড়ে যায়। জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষার ফলাফল একই দিনে প্রকাশ হওয়ায় শহরের ভালো ভালো দোকানে মিষ্টির সংকট পড়ে।
এ বছর মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৩৯ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৬৯ জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাস করেছে। মেহেরপুর ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন মডেল একাডেমি থেকে ২১ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১১ জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাস করেছে। মেহেরপুর জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৮২ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩৫ জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাস করেছে। মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) থেকে ২১৯ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৬৪ জন জিপিএ-৫ সহ ২১২ জন পাস করেছে। মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বিএম কলেজ থেকে ৯২ জন অংশ নিয়ে ২ জন জিপিএ-৫ সহ ৯০ জন পাস করেছে। মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২৫৯ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৪ জন জিপিএ-৫সহ ২৫৫ জন পাস করেছে। এছাড়া পিরোজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১৪২ জন অংশ নিয়ে ৫ জন জিপিএ-৫ নিয়ে ১৪২ জন পাস করেছে।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর গাংনীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিএসসি ফলাফল সন্তোষজনক না হলেও কেজি স্কুলগুলো বরাবরের মতই চমক দেখিয়েছে। জোড়পুকুরিয়ায় অবস্থিত সানরাইজ প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। ইবতেদায়িতে জেলা সেরা হয়েছে গাংনীর আল মদিনা দাখিলা মাদরাসা। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জনে শতভাগ পাস ও ২ জন পেয়েছে গোল্ডেন জিপিএ-৫। একই প্রতিষ্ঠানের জেডিসিতে ৯ জনে শতভাগ পাস ও ১ জন গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। জেএসসিতে গাংনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ এবারো সেরা অবস্থান ধরে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির ২৪২ জনে শতভাগ পাস এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪ জন। রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৮ জনে শতভাগ পাস ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৪ জনে শতভাগ পাস এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।