এক তৃতীয়াংশ জেলা পরিষদে বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীরা

প্রথমবারে মতো জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন সম্পন্ন

 জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদের ফলাফলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বাজিমাত দেখিয়েছেন। গতকাল ৩৮ জেলায় চেয়ারম্যান পদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বাইরে ১৩টি বিদ্রোহী ও জাতীয় পার্টি-জাপার বহিষ্কৃত একজন জয়ী হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের মনোনীত ২৪ জন জয় পেয়েছেন। তবে ভোটের আগেই আওয়ামী লীগ মনোনীত ২১ জন চেয়ারম্যান পদে জয় পান। মাদারীপুরের একটি কেন্দ্রে মারামারি এবং ময়মনসিংহে প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার অভিযোগ এনে দুই সদস্য প্রার্থীর ভোট বর্জনের ঘটনা ছাড়া প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদের ভোট সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যানসহ ২১ সদস্যের জেলা পরিষদ গঠিত হতে যাচ্ছে। নির্দলীয় এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনীত করে। নির্বাচনে রাজনৈতিক উত্তাপ না থাকায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মূলত আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এই লড়াইয়ে বিদ্রোহীরা উল্লেখ্যযোগ্য জেলায় দল সমর্থিত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন।

বিএনপি ও জাতীয় পার্টি-জাপা এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। তারপরেও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে দুটি দলের চারজন নির্বাচনে অংশ নেন। গাইবান্ধায় জাতীয় পার্টি-জাপার সাঘাটা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) আতাউর রহমান সরকার আতা জয়লাভ করেন। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলার পর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা ফল ঘোষণা করেন। ইসির ঘোষিত ৬১ জেলার মধ্যে গতকাল ৫৯ জেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৩৮টি জেলায় চেয়ারম্যানসহ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ভোট হয়। বাকি জেলায় সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ভোট হয়। ফেনী ও ভোলায় ভোটের আগেই সবাই বিনা ভোটে নির্বাচিত হন।

গতকাল মাদারীপুরসহ কয়েকটি স্থানে মারামারি এবং ময়মনসিংহে দুই সদস্য প্রার্থীর ভোট বর্জন ছাড়া আর বড় ধরনের কোনো গোলাযোগ হয়নি এই ভোটে। বরিশালে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগে ৭ জনকে জরিমনা করা হয়। নারায়নগঞ্জে লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ায় একজনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনে প্রতি জেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ১৫টি। নির্বাচনে মেয়র পদে ১৪৭ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২ হাজার ৯৮৬ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৮০৬ জন প্রার্থী ছিলেন। ভোটারদের চেয়ে ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যণীয়।

এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে স্বস্তির ঢেঁকুর তুলেছে নির্বাচন কমিশনও (ইসি)। নির্বাচন শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিলো দাবি করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষার চ্যালেঞ্জে ইসি জয়ী হয়েছে বলেও সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রহসন হয়েছে অভিযোগ বিএনপির: পরোক্ষ ভোটের জেলা পরিষদ নির্বাচন সংবিধান পরিপন্থি বলে দাবি করেছে বিএনপি। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে ‘আরো ধ্বংস’ করা হয়েছে অভিযোগ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার আইয়ুব খানের বুনিয়াদি গণতন্ত্র প্রবর্তন করতে চাইছে। জেলা পরিষদ নির্বাচন সরাসরি ভোটে দেয়ার আইন না করার ক্ষেত্রে সরকারের ভয় কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্বস্তি ইসিতেও: জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে দাবি করে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। গতকাল শেরেবাংলা নগরের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে ভোট নিয়ে আয়োজিত এক বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ও পুরুষ ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি ছিলো। প্রচলিত নির্বাচন থেকে ভিন্ন হওয়ার পরও ভোট শান্তিপূর্ণ করতে ইসির পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল জানিয়ে সিইসি বলেন, প্রার্থী ও সমর্থকরা যাতে নির্ভয়ে চলতে পারে সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া ছিল। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন এ জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। ভোটের গোপনীয়তার রক্ষা করা ছিল ইসির বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য ভোটকেন্দ্রে মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এমপিরা নির্বাচনী এলাকায় যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন এ জন্য স্পিকারকে দিয়ে এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। এ ছাড়া যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ ও তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য প্রতি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন বলেও জানান তিনি।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২২ চেয়ারম্যান: জেলা পরিষদের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেনÑ নারায়ণগঞ্জে আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরে মো. আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ের সাদেক কোরাইশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে আবদুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ হাদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আব্দুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, মুন্সিগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, কুষ্টিয়ায় রবিউল ইসলাম, ফেনীতে আজিজ আহমেদ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জে মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, চট্টগ্রামে এম এ সালাম, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও ফরিদপুরে মো. লোকমান মৃধা। ৩৯ জেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা

            কুড়িগ্রাম: চেয়ারম্যান পদে ৬৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. জাফর আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২৭৯ ভোট। মাগুরা: আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু ২৭০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ৯১ ভোটের ব্যবধানে তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের প্রার্থী রানা আমির ওসমানকে পরাজিত করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা: আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ শামসুল আবেদীন খোকন চেয়ারম্যান পদে ২৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু পেয়েছেন ২৪৫ ভোট
কক্সবাজার: মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ৭৬৮ ভোট চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ পেয়েছেন ২১৯ ভোট।

মেহেরপুর: আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম রসুল ১০৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিয়াজান আলী পেয়েছেন ৮৪ ভোট। এ ছাড়া অপর দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস পেয়েছেন ৫৫ ভোট এবং সাহিদুজ্জামান খোকন পেয়েছেন ২১ ভোট।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কনক কান্তি দাস ৫৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ৩৯২ ভোট।

সাতক্ষীরা: জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ৬৪৮ ভোট পেয়ে দলীয় প্রার্থী মুনসুর আহমেদকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ১৭৮ ভোট পেয়েছেন।

বরগুনা: বরগুনা-১ আসনের সাবেক এমপি মো. দেলোয়ার হোসেন ৫৯৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বরগুনার সাবেক এমপি মো. জাফরুল হাসান ফরহাদ পেয়েছেন মাত্র ১৭ ভোট।

সিলেট: চেয়ারম্যান পদে ৭৯৬ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক সরদার কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৫৫৩ ভোট পেয়েছেন।

মৌলভীবাজার: আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. আজিজুর রহমান ৩৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক এমপি এম এম শাহীন পেয়েছেন ২৮৯ ভোট।

লালমনিরহাট:  আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান ৩৭৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা পেয়েছেন ১৫৫ ভোট।

রংপুর: আওয়ামী লীগ সমর্থিত রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সিফিয়া খানম ৭৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদ (আম্বিয়া-বাদল) সমর্থিত আব্দুর সাত্তার পেয়েছেন ৩১৯ ভোট।

রাজশাহী: ৭৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহবুব জামান ভুলু পেয়েছেন ৪১৭ ভোট।

রাজবাড়ী: আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফকির আবদুল জব্বার ৫০৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রকিবুল হাসান পিয়াল পেয়েছেন ৮৫ ভোট।

গাইবান্ধা: স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান আতা ৩৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস উল আলম হীরু পেয়েছেন ৩৮০ ভোট।

মাদারীপুর: চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. মিয়াজ উদ্দিন খান ৭৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে ৪২ ভোট পেয়েছেন।

পিরোজপুর: চেয়ারম্যান পদে ৪২৩ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম পেয়েছেন ৩০২ ভোট।

নোয়াখালী: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. এবিএম জাফর উল্যা ৮৬৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. একে এম জাফর উল্যা (চামশা প্রতীক) পেয়েছেন ২৪২ ভোট।

জামালপুর: জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী ৬০২ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আওয়ামী লীগ সমর্থিত অ্যাডভোকেট এইচ আর জাহিদ আনোয়ার পেয়েছেন ৩৭৫ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শফিকুল আলম ৬৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ একেএম এমদাদুল বারী পেয়েছেন ৫৯৯ ভোট।

চাঁদপুর: জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী  ৩৫৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. নুরুল ইসলাম রুহুল পেয়েছেন ৪১৪ ভোট। এ ছাড়া ইউসুফ গাজী পেয়েছেন ২১ ভোট ও নাজিম দেওয়ান পেয়েছেন ১২ ভোট।

কুমিল্লা: আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. আবু তাহের এক হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন পেয়েছেন এক হাজার ২৩৩ ভোট।

নীলফামারী: জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ৪৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থীত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক পান ৪১১ভোট।

গোপালগঞ্জ: আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী চৌধুরী এমদাদুল হক ৯২৩ ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্ব প্রার্থী ডা. মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকী পেয়েছেন ১৫ ভোট।

শরীয়তপুর: চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার ৫৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুর রব মুন্সি পেয়েছেন ৩৬৯ ভোট।

শেরপুর: জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র হুমায়ুন কবির রুমান ৫৬৩ ভোট বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পেয়েছেন ১৭৬ ভোট।

সুনামগঞ্জ: চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুট ৭৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন পেয়েছেন ৪২০ ভোট।

লক্ষ্মীপুর: চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সামছুল ইসলাম ৫৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পেয়েছেন ১৯৫ ভোট।

মানিকগঞ্জ: চেয়ারম্যান পদে ৪৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. রমজান আলী পেয়েছেন ৩৫৬ ভোট।

রাজবাড়ী: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফকির আবদুুল জব্বার ৫০৫ ভোট বিজয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান পিয়াল পেয়েছেন ৮৫ ভোট।
রাজশাহী: চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহবুব জামান ভুলু।

খুলনা: চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ। তিনি পেয়েছেন ৭৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অজয় সরকার পেয়েছেন ১০৭ ভোট।

ময়মনসিংহ: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ১৭৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী একেএম ফখরুল আলম চৌধুরী বাপ্পী পেয়েছেন ২৮৮ ভোট।

নড়াইল: স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস ২৯৪ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সৈয়দ আইয়ুব আলী পেয়েছেন ২৫৩ ভোট। এ ছাড়া নরসিংদীতে আসাদুজ্জামান, বরিশালে মইদুল ইসলাম, নেত্রকোনায় সাবেক পৌর মেয়র প্রশান্ত কুমার রায়, পাবনায় রেজাউল রহিম লাল, পটুয়াখালীতে খান মোশারফ হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।