ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোবারকগঞ্জ চিনিকল মাড়াই শুরুর ১১ দিনে ৮২ ঘণ্টা ব্রেক ডাউন লোকসান ৫০ লাখ টাকা

 

শিপলু জামান: আখ মাড়াই শুরুর মাত্র ১১ দিনের মাথায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে প্রায় ৮২ ঘণ্টা ব্রেক ডাউন হয়েছে। সর্বশেষ ২৫ ডিসেম্বর ব্রেক ডাউন হওয়ার পর থেকে এখনো বন্ধ রয়েছে মিলটি । শহরে মাইকিং করে কৃষকদের আখ সরববরাহ না করতে ঘোষণা দিয়েছেন চিনিকল কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ বলতে পারেনি কখন মিলটি আবার চালু করা সম্ভব হবে। পুরোনো যন্ত্রপাতি, জ্বালানি সঙ্কট ও অদক্ষ শ্রমিক দিয়ে মিল চালানোর কারণেই এমনটি হয়েছে বলে কৃষক ও সাধারণ শ্রমিকদের দাবি। গত ১১ দিনে ৫০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে চিনিকলটির ।

শ্রমিক ও কৃষকরা জানিয়েছেন, এবছর মিল চালুর পূর্বের প্রায় ৭ কোটি টাকা খরচ করে সকল যন্ত্রপাতি মেরামত করা হয়। তবে মিলের দ্বায়িত্বশীল কর্তারা জানিয়েছেন যান্ত্রিত ত্রুটির কারণেই এ সমস্যা। ব্রেক ডাউনের ফলে গত ১১ দিনে মিলের কয়েক লাখ টাকা অপচয় হয়েছে।

মোবারকগঞ্জ সুগার মিল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর ১৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট, ১৮ ডিসেম্বর ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট, ১৯ ডিসেম্বর ৬ ঘণ্টা, ২০ ডিসেম্বর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট, ২২ ডিসেম্বর ৯ ঘণ্টা, ২৪ ডিসেম্বর ৫ ঘণ্টা, ২৫ ডিসেম্বর ৮ ঘণ্টা এবং সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বর ৪ ঘণ্টা ব্রেক ডাউন হয়েছে।

ব্রেক ডাউনের কারণ হিসেবে মোচিকের শ্রমিকরা জানান, সাধারণত মিল হাউজ ও বয়লার হাউসে বেশি সমস্যা হচ্ছে। মিল হাউজে পুরাতন যন্ত্রপাতি দিয়ে মাড়াই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বেশির ভাগ সময়েই মিলে কার্টার ও আখের রস সংগ্রহের রুলারে জাম বেধে যাচ্ছে। আর এ কারণে ব্রয়লার হাউজে ঠিক মত জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও মিলে অদক্ষ শ্রমিক থাকায় কাজ ঠিক মতো না বোঝার কারণে এ সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে।

মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, মূলত এই ব্রেক ডাউন গুলো যান্ত্রিক ত্রুটি। মিল চালাতে গেলে যন্ত্রাংশ নষ্ট হবে এটা স্বাভাবিক। তবে তিনি স্বীকার করেন পুরোনো যন্ত্রপাতি দিয়ে মিল চলানোর কারণেই এই ব্রেক ডাউন হচ্ছে। তিনি আরও জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার একটু বেশিই ব্রেক ডাউন হচ্ছে। গতকাল এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত চিনি কলটি বন্ধ রয়েছে বলে জানা যায়।