গাংনীতে আদমব্যাপারী কামরুলের ৫ বছর দণ্ড : গ্রেফতার না হওয়ায় বাদীপক্ষে হতাশা

 

গাংনী প্রতিনিধি: আদমব্যাপারীর প্রতারণার শিকার মেহেরপুর গাংনীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বিচারের আশায় প্রহর গুনছেন। তিন বছর আগে মামলার রায়ে আদমব্যাপারী কামরুল ইসলাম দণ্ডিত হলেও আত্মগোপনে রয়েছে।

জানা গেছে, গাংনীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী চৌগাছা গ্রামের আব্দুল হালিম তার ভাইকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রেরণের জন্য ১১ লাখ টাকা দেন হাড়ভাঙ্গা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে কামরুল ইসলাম। কামরুল ইসলাম এলাকার চিহ্নিত আদমব্যাপারী। এলাকা ও ঢাকায় অবস্থানের মধ্যদিয়ে এলাকার মানুষের কাছ থেকে বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে টাকা সংগ্রহ করাই তার মূল পেশা বলে জানা গেছে। অপকৌশলে তিনি হালিমের কাছ থেকে ওই টাকা বাগিয়ে নেন। আব্দুল হালিম কামরুলের ব্যাংক হিসেবে টাকা প্রেরণ করেন। কিন্তু বিভিন্ন টালবাহানায় তার ভাইকে বিদেশে প্রেরণ করেনি। বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করে নিরুপায় হালিম  টাকা ফেরত দাবি করেন। টাকা আত্মসাত করতে আত্মগোপন করে আদমব্যাপারী প্রতারক কামরুল। একপর্যায়ে ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি কৃষি ব্যাংকের হিসেবে নম্বর থেকে আব্দুল হালিমকে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার চেক দেয়। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে তিনি ওই হিসেবে টাকা পাননি। চেক প্রতারণায় হতাশ হয়ে পড়েন আব্দুল হালিম। তার সাথে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয় কামরুল। একপর্যায়ে হাড়ভাঙ্গা গ্রামে তার বাড়িতে কামরুলের সাথে দেখা হলে সে টাকা দেবে না বলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়। টাকা আদায় করে নেয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় হালিমের দিকে। নিরূপায় আব্দুল হালিম বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে টাকা আদায়ের সুপারিশ করেও ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত টাকা আদায় ও আদমব্যাপারীর শাস্তির দাবিতে তিনি মেহেরপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞ আদালত মামলার তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেন। আদমব্যাপারী কামরুল ইসলামকে পেনাল কোডের ৪২০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক। একই মামলায় ৪০৬ ধারায় আরো দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আব্দুল হালিম আদালতে মামলা করার আগ থেকে আত্মগোপনে রয়েছে আদমব্যাপারী কামরুল। তাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। সে কোথায় আছে তাও জানে না বাদীপক্ষ। তবে মাঝে মধ্যে সে হাড়ভাঙ্গা গ্রামে নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসে বলে জানতে পেরেছেন মামলার বাদী। এরপরেও সে গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশার সাগরে পড়েছেন বাদী আব্দুল হালিম। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা দ্রুত কার্যকর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত ওসি আনোয়ার হোসেন।

 

চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির প্রভাতী শিফটের উত্তীর্ণ ছাত্রীদের মেধাক্রমানুসারে রোল নং- ৩১০০০৬৯, ৩১০০০৭৪, ৩১০০০৭৮, ৩১০০০৪৮, ৩১০০০৬৭, ৩১০০০৬৮, ৩১০০১০৩, ৩১০০২১৪, ৩১০০০৫১, ৩১০০০৪৭, ৩১০০০৯৭, ৩১০০১৩২, ৩১০০১৬৯, ৩১০০২১৫, ৩১০০২১৪, ৩১০০০১৬, ৩১০০০৩৮, ৩১০০০৩৯, ৩১০০০৪০, ৩১০০০৪৩, ৩১০০০৭১, ৩১০০১৫৪, ৩১০০২১৬, ৩১০০১৫৮, ৩১০০০০৫, ৩১০০০০৬, ৩১০০০৭৬, ৩১০০০৮১, ৩১০০১৩৯, ৩১০০১৪০, ৩১০০১৬৫, ৩১০০০০৪, ৩১০০০২১, ৩১০০০৩৬, ৩১০০০৭৭, ৩১০০১৬৪, ৩১০০১৮৩, ৩১০০২২৩, ৩১০০০০৮, ৩১০০০০৯, ৩১০০০৫৫, ৩১০০১৩১, ৩১০০১৭৪, ৩১০০০৪১, ৩১০০১৫৩, ৩১০০০০১, ৩১০০০১০, ৩১০০০৬৬, ৩১০০০৯৯, ৩১০০১৩৬, ৩১০০১৩৮, ৩১০০১৬৩, ৩১০০২২৮, ৩১০০০৬২, ৩১০০০৮৪, ৩১০০১১৩, ৩১০০১৯৪, ৩১০০২২৬, ৩১০০০০৭, ৩১০০০২৭,