চুয়াডাঙ্গা কালিভাণ্ডারদহের ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী গৌরী অধিকারী কাজলির লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই সৎকার : আন্তহত্যার পেছনে এলাকায় চাপা গুঞ্জন

 

পাঁচমাইল প্রতিনিধি: খুলনা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী গৌরী অধিকারী ওরফে কাজলির লাশ গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে কালিভাণ্ডারদহ গ্রামে শ্মশানঘাটে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সৎকার সম্পন্ন করেন। এই বিষয়ে কাজলির দাদা সঞ্জয় অধিকারী বলেন, আমার বোনটা খুব বায়না ধরা ছিলো। সে যা বায়না করে সেই বায়না পূরণ করার চেষ্টা করতাম। কিছু দিন আগে একটি টাচ মোবাইলফোনের বায়না করছিলো কিনে দেয়া হয়েছে। গত রোববার ছুটি পেয়ে কাজলি বাড়িতে আসে বেড়াতে, বায়না করে কানের দুল কিনে দিতে হবে। বাবা কাজলিকে বলে কিছুদিন আগে তোমার একটি মোবাইল কিনে দিলাম এখন হাতে টাকা নেই কিছুদিন পর কিনে দেবো। এতে কাজলি অভিমান করে বিষপান করে। এদিকে গ্রামের লোকজন চাপা গুঞ্জন তুলেছে যে কাজলি শিক্ষিত মেয়ে সে এমনটা ভুল করতে পারে না, কেননা সে তো ছোট মেয়ে নয় যে কানের দুল না কিনে দেয়ায় আত্মহত্যা করবে। কাজলির আন্তহত্যার পেছনে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে যা কাজলির পরিবারের লোকজন ধামাচাপা দিচ্ছে। গ্রামের লোকজন মনে করছে কাজলির কোথাও প্রেমসম্পর্ক ছিলো হয়তো বাবা-মা, তাদের বিষয়টি মেনে না নেয়ায় এই আত্মহত্যা করতে পারে। কাজলির লাশ যখন গ্রামে আনার পর গ্রামের লোকজন দেখে যে কাজলির কান, নাক, ভুরু ক্ষত-বিক্ষত ছিলো।