স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন শিক্ষপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব, মাল্টিমিডয়ার ব্যবহার, বিজ্ঞান বিষয়ক প্রাক্টিক্যাল ক্লাশ না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে জেলার বিভিন্ন দফতরের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রতিনিধিদের সাথে শিশু সংলাপ বিষয়ক মতবিনিময় আয়োজন করে জেলা ন্যাশনাল চিলড্রেন টাক্সফোর্স (এনসিটিএফ)। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা এনসিটিএফ সভাপতি সাফফাতুল ইসলামের সভপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রমেন্দ্রনাথ পোদ্দার, ভি.জে সরকারি বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনি মোহন বিশ্বাস, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আফসানা ফেরদৌসি, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সেনেটারি ইন্সপেক্টর গোলাম ফারুক, জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন, এনসিটিএফ উপদেষ্টা সাংবাদিক মরিয়ম শেলী ও সেফ দ্যা চিলড্রেন প্রতিনিধি মৃদুল ইসলাম মৃদুল। সভায় এনসিটিএফের সদস্যরা জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বিষুদ্ধ খাবার পানির অভাব, বিজ্ঞান বিষয়ক প্যাক্টিক্যাল ক্লাশ নিয়োমিত না হওয়া, মাল্টিমিডিয়ার ক্লাশ ও আইসিটির জন্য দেয়া কম্পিউটার ল্যাব শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত না করা এবং এ বিষয়ে নিয়োমিত শিক্ষা না দেয়া, প্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার সময়ে বাড়তি টাকা নেয়া বন্ধ করা, বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত না থাকা, অনেক বিদ্যালয়ে টয়লেটের অভাব। আবার কোনো কোনো বিদ্যালয়ে টয়লেট থাকলেও তালা বন্ধ করে রাখা, টয়লেটে পানির সঙ্কট, বিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ ও মাদক গ্রহণ, বাল্যবিয়ে ও জঙ্গি বিরোধী সমাবেশ নিয়োমিত করা, বিদ্যালয়ের নিকট জোড়ে হর্ন না বাজানো, আপদকালীন সময়ে যেমন আগুন লেগে গেলে বা ভূমিকম্পের সময়ে ছাত্র-ছাত্রীরা যেন প্রস্তুত থাকতে পারে সে বিষয়ে মহড়ার ব্যবস্থ্যা করাসহ বিভিন্ন বিষয় অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন।
সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, জেলার বিভন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ওপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর দিকে দৃষি আকর্ষণ করেন। বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করার বিষয়ে পদক্ষেক গ্রহণের আশ্বাস দেন।