চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে রোগব্যাধির প্রকোপ : হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর উপচেপড়া ভিড়

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে গেছে নানা ধরনের শীতজনিত রোগব্যাধি। উত্তরের হিমালে হাওয়ায় এ জেলায় শীত জেঁকে বসেছে। গতকালও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রার কাছাকাছি ছিলো। একেতো আহওয়া পরির্তনের ধকল, তারপর তীব্র শীতের বিরূপ প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। বেড়ে গেছে সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা ধরণের রোগব্যাধি। এসব রোগে শিশু এবং বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। ফলে জেলার সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে এখন বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ এবং অন্তর্বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। জেলা সদর হাসপাতালে শিশুদের জন্য বরাদ্দ শয্যা সংখ্যার পাঁচগুণ রোগী ভর্তি রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১শ শয্যার এই হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকছে। এছাড়া প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে ৫শ এবং জরুর বিভাগে দেড়শ থেকে ২শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। গতকাল রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ১৪ শয্যার ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে ৬৪ শিশু। যা ধারণ ক্ষমতার সাড়ে ৪ গুণ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ২৮ শিশু। আগে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে আরও ৩৯ শিশু। এছাড়াও মেডিসিন ওয়ার্ডে বয়স্কদের রোগীরা বেশি ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বেশি। শিশুরা ঠা-ায় যেন বের না হয় এবং তাদের পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে বলে পরামর্শ দিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল শিশু বিভাগ সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন। তিনি বলেন, শীতে শিশুরা বেশি রোটাভাইরাসে কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। শূন্য থেকে ৬ মাসের রোটাভাইরাসের ভ্যাকসিন দিতে পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো খেপুপাড়া ও ভোলায় ২৭ দশমিক ৩, সর্বনি¤œ ছিলো যশোরে ১২ দশমিক শূন্য। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক শূন্য ও সর্বনি¤œ ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আবহওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আবহওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। নদী অববাহিকতায় কোয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা আরো হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

Leave a comment