যশোরে বহু প্রতীক্ষিত ভারতীয় ভিসা সেন্টার চালু হচ্ছে আজ

 

যশোর প্রতিনিধি: খুলনা বিভাগের ৭ জেলার নাগরিকরা খুলনার পাশাপাশি এখন থেকে যশোরেও ভিসা আবেদন জমা দিতে পারবেন। টুরিস্ট, মেডিকেল, ব্যবসাসহ সব ক্যাটাগরির ভিসার আবেদন এখানে জমা নেয়া হবে। ২০১১ সালের জুন থেকে খুলনা বিভাগের খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার নাগরিকরা খুলনা সেন্টারে ভারতীয় ভিসার সুবিধা  পেয়ে আসছেন। খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার বাসিন্দারা রাজশাহী সেন্টারে আবেদন জমা ও ভিসা গ্রহণ করতে পারেন। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এই কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

সূত্র জানায়, ৭ জেলার প্রায় দেড় কোটি মানুষের একমাত্র খুলনা সেন্টারে আবেদন জমা ও ভিসা গ্রহণে নানা ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়। বিপুলসংখ্যক মানুষের ভিসা আবেদন গ্রহণ ও ভিসা ডেলিভারি দিতে কর্মকর্তাদেরও নাভিশ্বাস উঠে যায়। দূর-দূরান্তের মানুষ যাতায়াত অসুবিধাসহ বহিরাগত দালালদের হয়রানির শিকারও হন। দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন যশোরে ভিসা সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। শহরের মনিহার সিনেমা হলের কাছে একটি কমিউনিটি সেন্টারে ভারতীয় ভিসা অ্যাপলিকেশন সেন্টার (আইভিএসি) স্থাপন করে ভিসা আবেদন জমা ও ভিসা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানকার ৮টি কাউন্টার থেকে সেবা দেয়া হবে। খুলনার সেন্টারে ৬টি কাউন্টার থেকে সেবা দেয়া হয়ে থাকে। যশোর সেন্টারের প্রধান ফটকে টাঙানো নোটিশে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রচলিত নিয়মের অ্যাপয়েনমেন্ট ডেট (ই-টোকেন) নেয়া প্রার্থীরা টুরিস্ট ভিসার আবেদন জমা দিতে পারবেন। মেডিকেল, ব্যবসাসহ অন্যান্য ক্যাটাগরির ভিসার জন্য কোনোরকম অ্যাপয়েনমেন্ট ডেট (ই-টোকেন) ছাড়াই আবেদন জমা দেয়া যাবে।

স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার খুলনা ব্রাঞ্চ হেড মানিক চক্রবর্তী জানান, খুলনা বিভাগের ৭টি জেলার জন্য খুলনার একটিমাত্র সেন্টারে কার্যক্রম চলছে। জনগণের সুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ যশোরে একটি সেন্টার চালু করছে। এটা খুলনা বিভাগের দ্বিতীয় সেন্টার হিসেবে গণ্য হবে। তিনি আরও জানান, যশোর সেন্টারটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এখনই হচ্ছে না। আবেদনকারীদের সুবিধার্থে ২০ ডিসেম্বর থেকে আবেদন জমা নেয়া হবে। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে সেন্টারটি উদ্বোধন করা হবে। বয়স্ক আবেদনকারী অর্থাৎ ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের প্রার্থীদের ই-টোকেন ছাড়া টুরিস্ট ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হবে। অন্যান্য ভিসা আবেদন প্রচলিত নিয়মানুযায়ী গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে মেডিকেল ভিসার আবেদন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নেয়া হবে। অন্য ক্যাটাগরির ভিসা আবেদন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। ভিসা প্রসেসিং ফি মোবাইল ব্যাংকিং ইউ ক্যাশের মাধ্যমে দিতে হবে। যশোর সেন্টারের নিচতলায় ফি জমা নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবেদনকারীর ইউ ক্যাশ অ্যাকাউন্ট থাকলে তার মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং ফি জমা করতে পারবেন। পাসপোর্টসহ ভিসা ডেলিভারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দেয়া হবে। আবেদনকারীদের অধিক সুবিধা নিশ্চিত করতে যশোর সেন্টার থেকে ভবিষ্যতে পাসপোর্টে ডলার এনডোর্স ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ট্রাভেল কার্ড বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। যশোর সেন্টারটি স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কয়েকজন এক্সিকিউটিভ পরিচালনা করবেন। এদের মধ্যে বিপ্লব সাহাকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

 

Leave a comment