জীবননগর ব্যুরো: ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রান্না ঘরে ফেনসিডিল রেখে ফাঁসানো হয় জীবননগর উপজেলার মাধবপুরের ইয়াদুল হককে। গোপন খবরে রায়পুর ফাঁড়ি পুলিশ তাকে শনিবার রাতে আটক করে। এ সময় তার রান্না ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ৮ বোতল ফেনসিডিল। আটকের পর গতকাল রোববার ইয়াদুলকে (২৩) জীবননগর থানাতে সোপর্দ করেণ রায়পুর ফাঁড়ি ইনচার্জ নাজমুল হক। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফেনসিডিল রেখে ইয়াদুলকে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তাকে বাঁচাতে গ্রামের একটি পক্ষ চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের দায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেনের নিকট অভিযোগ করা হয়। তিনি জীবননগর থানার ওসিকে এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেন। ওসি ইনামুল হক তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং তদন্ত করে দেখতে পান ইয়াদুল নিরাপরাধ তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। ওসি ইনামুল হক থানায় ফিরে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপারের সাথে পারমর্শ করে আটক যুবক ইয়াদুল হককে মুক্ত করে দেন। এ ঘটনায় রায়পুর ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল হক তিরস্কৃত হলেও সর্বপরি পুলিশের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে ।
পুলিশ ও এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, মারুফদাহ গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বদের ছেলে ইয়াদুল কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সে গ্রামের আলোচিত জ্যাফি হত্যা মামলার একজন সাক্ষি। সম্প্রতি সকল প্রকার বাধা পেরিয়ে সে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে। গোপন সংবাদ পেয়ে শনিবার রাতে রায়পুর ফাঁড়ি ইনচার্জ নাজমুল হক তাকে গ্রেফতার করেন। এ সময় তার রান্না ঘর থেকে উদ্ধার করেন ৮ বোতল ফেনসিডিল। গতকাল তাকে জীবননগর থানাতে সোপর্দ করা হয়। ইয়াদুলকে নিরাপরাধ, সে ফেনসিডিলের ব্যবসা করে না, তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয় চুয়াডাঙ্গা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেনের কাছে। অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখার জন্য জীবননগর থানার ওসি ইনামুল হককে নির্দেশ দেন।
ওসি ইনামুল হক বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তদন্ত করে দেখতে পারেন ইয়াদুল ষড়যন্ত্রের শিকার। এমন ঘটনার জন্য তিনি রায়পুর ফাঁড়ি ইনচার্জ নাজমুল হককে তিরস্কার করেণ এবং থানায় ফিরে এসে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপারের সাথে পরামর্শ করে আটক ইয়াদুলকে মুক্তি দেন। এ ঘটনায় গ্রামটিতে পুলিশের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।