ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদরের দোগাছি গ্রামের দাউদ হোনের স্ত্রী শাহানারা বেগম পারিবারিক কল্যহের জের ধরে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন। শাহানারা গত বুধবার গভির রাতে মৃত্যবরণ করেন।
গ্রামবাসীসূত্রে জানা গেছে, শাহানারা বেগম দোগাছি ইউনিয়নের দাউদ হোসেনের স্ত্রী। দীর্ঘ ১৫–১৬ বছর তাদের বিবাহ জীবন। দুই মেয়ে নিয়ে তাদের সুখের সংসার ছিলো। বড় মেয়ে শিলা খাতুন নারিকেলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ে এবং ছোট মেয়ে ৪ বছরের। এর আগে তিন বার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অপারেশনও করায় দাউদ। এ ভাবেই চলছিলো তাদের অভাবের সংসার, মাঝে মধ্যে দেখা যায় এদের মধ্যে ঝগড়া, ঝাটি মনদ্বন্দ। এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তাদের মাঝে ঝগড়া হতে দেখা যায়। পরে আমরা সকলে জানতে পারি শাহানারা বিষ খেয়েছে।
শাহানারার শ্বশুর বাড়ি থেকে জাননানো হয়, শাহানারার তিন বার অপারেশন করানো হয় এবং তার শরীর অসুস্থ অনেক দিন থেকে। বুধবার হঠাৎ শাহানারা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার প্রচ– পেটে ব্যাথা করে। পেটের ব্যাথা সইতে না পেরে বিষ পান করে। পরে আমরা জানতে পারলে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহানারা মৃত্যুবরণ করে।
শাহানারার বড়ভাই রইচ উদ্দিন বলেন, শাহানারার সাথে ১৬ বছর আগে দাউদের সাথে বিয়ে হয়। শাহানারার বারবার শরীর অসুস্থ হওয়ার পরে তাকে কয়েক বার অপারেশন করাতে হয়। তিন বার অপারেশন করতে অনেক টাকা খরচ হওয়ার পর থেকে আমাদের কাছে টাকা চাইতে থাকে আমরা না দিতে পারলে শাহানারাকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করে। অবশেষে নির্যাতন সইতে না পেরে বুধবার শাহানারা বিষ পান করে বলে জাননানো হয়। শাহানারাকে অবশ্যই হত্যা করে পরে তার শশুর বাড়ির লোক জন মুখে বিষ দিয়ে নাটক করছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. বলেন, গত বুধবার দুপুর অনুমানিক ১টার দিকে নিজ বাসায় বিষ খেলে পরিবারের লোকজন দ্রুত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহানারা মারা যায়। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।