ভালাইপুর প্রতিনিধি: দামুড়হুদা জুড়নপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে প্রশাসানকি পদক্ষেপে বাল্যবিয়ে প- করতে গিয়ে পুলিশের লঠি পেটা ও ধস্তা-ধস্তিতে ছেলে পক্ষের নারী-পুরুষসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। বর-কনে উভয় পক্ষের ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সন্ধ্যার পর দামুড়হুদা থানা পুলিশ আটককৃতদের ছেড়ে দিয়েছেন বলে গ্রামবাসী জানিয়েছে।
জানা গেছে দামুড়হুদার গোপালপুর গ্রামের আতর আলীর মেয়ে কলাবাড়ী-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী রজনী খাতুনের সাথে দলিয়ারপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে বিপুল হোসেনের (২৩) বিয়ে ঠিক হয়। স্থানীয় ঘটক মিজানুর রহমানের সহযোগিতায় মেয়ে দেখতে গিয়ে ছেলে পক্ষ পছন্দ করে গতকালই বিয়ের দিন ধার্য করে। শুরু হয় বিয়ের আয়োজন। গোপনে তথ্য পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান বিষয়টি জানান দামুড়হুদা থানার ওসি আবু জিহাদকে। দুপুর দেড়টার দিকে অভিযান শূরু করা হয়। দলিয়ারপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই টিপু সুলতান ও দামুড়হুদা থানার পুলিশ ফোর্স সম্মিলিতভাবে গোপালপুর গ্রামে মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং মেয়ে পক্ষের তিন জন সুমা হোসেনের ছেলে মমিন হোসেন, বাদশার ছেলে মানিক হোসেন ও আরব আলীর ছেলে জুব্বারকে আটক করেন। বিকেল ৩টার দিকে এসআই টিপু সুলতান বরের বাড়ি দলিয়ারপুর উপস্থিত হয়ে বর বিপুলকে আটক করতে গেলে বর বিপুল হোসেনের পরিবারের লোক জনের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
এ বিষয়ে বরের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় লোকেরা অভিযোগ করে বলেন আমাদের বিয়ে বন্ধের বিষয়ে নিষেধ না করে বিপুলকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই টিপুসুলতান গালাগালি শুরু করেন। প্রতিবাদ করতে গেলে এসআই টিপু সুলতানসহ দলিয়ারপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা আশির উদ্দিনের ছেলে নাঈম উদ্দিন, মতলেবের ছেলে মঞ্জু, নাঈম উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম, বাচ্চু রহমানের স্ত্রী আনিকা খাতুন, বসির উদ্দিনের স্বামী ফাইমা খাতুন, হবির স্ত্রী মর্জিনা খাতুন, মৃত আজিজুল ইসলামের স্ত্রী আরফিনা খাতুন, মুকুলের স্ত্রী পারভীনা খাতুন, বেল্টু রহমানের স্ত্রী হালিমা খাতুনকে বেধড়ক লাঠি পেঠা করে আহত করেন। বর বিপুলকে না পেয়ে নঈম উদ্দিনের ছেলে আমিনুলকে আটক করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তারা। গ্রামবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন পুলিশ ব্যালবিয়ে বন্ধের পরা মর্শ না দিয়ে গ্রেফতার করতে এসে গালিগালাজ করে নারী পুরুষকে বেধড়ক পেটানোর বিষটিকে দায়ী করে দলিয়ার পুলিশ ফাঁড়িকে নিন্দা জানিয়ে এবং প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলিয়ারপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই টিপু সুলতান বলেন, ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে মারপিঠ বা ধস্তাধস্তির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং আটক করতে গেলে তারাই আমাদের ওপর চড়াও হয়।