নিখোঁজ নৈশপ্রহরীর ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা হায়দারপুরের স্কুলমাঠে মৃতদেহ দেখে স্ত্রীর দাবি স্বামী আত্মহত্যা করেছে

 

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামের মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নৈশ প্রহরী শের আলী (৬৫) এর ক্ষত বিক্ষত লাশ হায়দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে ছোট কুনের মাঠের ভুট্টা ক্ষেতের মাঝ থেকে উদ্ধার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত গোলাম মোস্তফা ও এসআই মহসিন এ মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী হায়দারপুর গ্রামের জাহাবক্সের ছেলে আজিত জানান গতকাল রোববার বেলা ৩টার দিকে হায়দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে কুনের মাঠে ঘাস কাটতে যায়। এ সময় একই গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে মজিবুল (১৫) বলেন ভুট্টার মধ্যে একটা মানুষ মরে পড়ে আছে। তার কথা শুনে হায়দারপুর গ্রামের সব্বতকে সাথে নিয়ে দেখি শেরআলীর লাশ। লাশের গায়ের ও মাথার চামড়া এবং চোখ দুটি নষ্ট হয়ে গেছে। লাশের সমস্ত শরীর পরনের লুঙ্গি দিয়ে ঢাকা। সংগে সংগে শের আলীর বাড়িতে খবর দেয়া হয় এবং বাড়ির লোকজন শেরআলীর লাশ বলে শনাক্ত করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা ও এসআই মহসিন মৃত লাশ উদ্ধার করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস ও ইউপি সদস্য আজিবার রহমান। শের আলীর এ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবারে।

এ ব্যাপারে মৃত শের আলীর স্ত্রী হালিমা খাতুন বলেন তার স্বামী সড়ক ও জনপথ বিভাগে নৈশ প্রহরী হিসেবে চাকরি করতো। গত ৭ বছর আগে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তার পেনসনের টাকা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে সংসার চালায়। অবসর গ্রহণের পর থেকে কিছুটা মানষিক ভারসাম্য হারিয়েছে। মাঝে মধ্যে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়, ১০/১৫দিন পর আবার বাড়িতে ফিরে আসে। গত ১ বছর আগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায়। আবার ৭/৮মাস আগে বিষপান করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে বিষ তুলে চিকিৎসা করা হয়। তার ধারনা তার স্বামী শের আলী আত্মহত্যা করেছে।

 

Leave a comment