দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গায় সশস্ত্র ডাকাতদলের হানা : গ্রামবাসির প্রতিরোধ : একজনকে পাকড়াও
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গায় সশস্ত্র ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতিকালে প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাইদুর (৩৫) নামের এক ডাকাতকে পাকড়াও করে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী। গণপিটুনিতে শিকার ডাকাত সাইদুরকে পুলিশ উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (চিৎলা হাসপাতালে) ভর্তি করেছে। তাকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। সে দামুড়হুদা উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামের ছমির উদ্দীনের ছেলে। গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ারের বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে ডাকাতদল পালিয়ে যাওয়ার সাইদুরকে পাকড়াও করে গণপিটুনি দেয় গ্রামবাসী।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল খালেক জানান, ৫/৭ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফলেহার মণ্ডলের ছেলে কৃষক আনোয়ারের বাড়িতে ডাকাতি করতে যায়। ডাকাতদলের উপস্থিতি টের পেয়ে আণোয়ার ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অবস্থা বেগতিক দেখে ডাকাতদল পার্শবর্তী মাঠ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় গ্রামবাসী তাদের পিছু ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ডাকাত সাইদুর জমির আইলে বেঁধে পড়ে গেলে গ্রামবাসী ধরে ফেলে তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে মুমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে দামুড়হুদা থানা পুলিশ তাকে চিৎলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। গণপিটুনিতে তার বাম পা ভেঙে গেছে এবং মাথাও ফেটে গেছে। মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া লেগেছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মামলা হয়নি। এসআই জিয়া প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, দু মুঠ করে লুঙ্গি পরা ওই দলে মোট ৩ জন ডাকাত ছিলো। তাদের হাতে হেসো ছিলো। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গণপিটুনির শিকার ডাকাত সাইদুরকে পুলিশ পাহারায় চিৎলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।