আফরোজা পারভীনের পাশে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড : মানববন্ধন স্মারকলিপি পেশসহ সচিবের কুশপুত্তলিকা দাহ

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার টিকাদান সুপারভাইজার চাকরিচ্যুত : সংবাদ সম্মেলনে পৌরমেয়র ও সচিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার টিকাদান সুপারভাইজার আফরোজা পারভীন তার চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরমেয়র ও পৌরসচিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। একই দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পৌর সচিবের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর পর শহরে মানববন্ধন করেন তারা। পরে শহরে ঝাড়– মিছিল বের করা হয়। জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে প্রতিকারও প্রার্থনা করা হয়েছে।

গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আফরোজা পারভীন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ১২ জুলাই চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার অফিস কক্ষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসচিব কাজী শরিফুল ইসলাম একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলা চলমান অবস্থায় গত ৮ ডিসেম্বর পৌর মেয়র ৩ মাসের বেতন দিয়ে আমাকে চাকরিচ্যুত করেন। পৌর সচিবের বিরুদ্ধে বিচার চলমান থাকার পরও পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী কর্তৃক চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ জানান।

সংবাদ সম্মেলনের পর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এরপর শহরে মিছিল সহকারে এসে বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে মানববন্ধন ও পৌর সচিব কাজী শরিফুল ইসলামের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। বিক্ষোভ মিছিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কবরী রোডে এসে শেষ হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের  সংসদ সদস্য হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বরাবরও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনসহ এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার যুগ্মআহ্বায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদসহ চাকরিচ্যুত আফরোজার পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, আফরোজা পারভীন ২০০৩ সালে মেহেরপুর গাংনী পৌরসভায় চাকরিতে নিয়োগ পান। ২০১০ সালে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় যোগদান করেন। তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম কুরাইশীর মেয়ে।