ফলোআপ: দামুড়হুদার কাঁঠালতলা থেকে ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় ৬ জনের নামে মামলা
দর্শনা অফিস/দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঁঠালতলা থেকে প্রাইভেটকারসহ ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় আটক কবিরসহ মোট ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেছেন। আটক আসামি কবিরকে গতকাল শুক্রবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। এদিকে প্রাইভেটকারসহ ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনাটি নিয়ে এলাকার সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন দেখা দেয়ার পেছনে পুলিশই দায়ী বলে মনে করছে সচেতনমহল। তারা বলেছেন, আমরা ধরেই নিলাম ওই প্রাইভেটকারে ৫০ বোতল ফেনসিডিল ছিলো। তাহলে সন্ধ্যার পরপরই আটক করা মালামাল আত্মগোপনে রেখে রাত ১২টার দিকে জানানো হলো কেন? তাছাড়া দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঁঠালতলা থেকে আটক করা ফেনসিডিল কেন দর্শনা তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলো? এমন নানা প্রশ্ন উঁকি দিতে শুরু করেছে। আটক মালামাল নিয়ে পুলিশের এই ইঁদুর-বিড়াল খেলাসহ সামগ্রিক কার্যক্রমই পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আর এ কারণেই জনগণের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে ওই প্রাইভেটকারে আসলেই কী শুধুমাত্র ৫০ বোতল ফেনসিডির ছিলো নাকি সোনার গয়না ছিলো এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে আসলে ফেনসিডিল নয় ওই প্রাইভেটকারে ছিলো ৬ কোটি টাকার সোনার গয়না। যা আটকের পর পুলিশ দর্শনা তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং ২০ লাখ টাকায় রফা করে ৪ ঘন্টায় মাত্র ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখায়।
সূত্র আরও জানিয়েছে, ভারত থেকে চোরাই পথে আনা ওই সোনার গয়নার প্রকৃত মালিকদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রেখেই মামলা করা হয়েছে। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ বলেছেন, ওই প্রাইভেটকারে প্রকৃতপক্ষে ফেনসিডিলই ছিলো। সোনার গয়নার বিষয়টি উড়ো খবর। ওই খবরের সুনিদিষ্ট কোনো ভিত্তি নেই।