দামুড়হুদায় ৭০ বছরের বৃদ্ধা এখনও পাননি বয়স্কভাতার কার্ড

 

 

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের নতুনপাড়ায় বসবাসরত এক অসহায় বিধবা প্যারালাইসিস রোগীর নাম আনুরা খাতুন (৭০)।

জানা গেছে, বাঘাডাঙ্গা নতুনপাড়ার মৃত মসলেমের স্ত্রী আনুরা খাতুন দীর্ঘ ১০ বছর যাবত বাম হাত বাম পা প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত। আজ দু বছর হলো তার স্বামীও মারা গেছে। সংসার জীবনে আনুরার রয়েছে ২ ছেলে ২ মেয়ে।২ ছেলের নিজের মতোই সংসার চলেনা। বৃদ্ধ আনুরাকে তার ২ ছেলে ঠিকমতো খোঁজখবরও রাখে না। অর্থাভাবে প্যারালাইসিস রোগের চিকিৎসা তো দূরে থাক আজ এক বেলা এক মুঠো ভাতের জন্য তার আজ হাহাকার। আমাদের এ প্রতিবেদক আনুরার ছেলের বাড়িতে গিয়ে দেখেন আনুরা একটা ময়লা ছেড়া শাড়ি পরে বস্তা পেতে বসে আছে। চোখে মুখে ক্ষুধার্তভাব সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বললে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, বাবা আমার মরণও হয় না। মরলে শান্তি পেতাম। ছেলেরা ঠিকমতো খোঁজ রাখে না তাদের নাকি নিজেরই চলে না। চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে কোনো সাহায্য বা বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা’র কার্ড হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি আর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। বলেন, বাবা কেউ আমার খোঁজ রাখে না। আমি কি না খেয়ে মরে গেলে তারপর পর পাবো কার্ড। আমার স্বামী মারা গেছে এটা তো সত্য। ভোটের সময় নেতারা আসে বড় বড় কথা বলে জড়িয়ে ধরে ছবি তোলে আর ভোটের পরে কেউ আসেনা বাবা। ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও কাজ হয় না। আনুরার দু বেলা দু মুঠো ভাতের ব্যবস্থার জন্য একটি বয়স্কভাতা বা বিধবা ভাতা’র কার্ডসহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করতে কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্টো, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।