চুয়াডাঙ্গায় পৃথক ৫টি দুর্ঘটনা : সরোজগঞ্জে কোচের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক ৫টি দুর্ঘটনায় একজন নিহতসহ আহত হয়েছে ৪ জন। গতকাল শুক্রবার পৃথকস্থানে পৃথক সময়ে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। গতরাত আনুমানিক সোয়া ৯টার দিকে সরোজগঞ্জে দূরপাল্লার কোচের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী বোয়ালিয়ার মোতাবেল হোসেন (৪০) নিহত হয়। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা-দামুড়হুদা সড়কের উজিরপুরে কেরুজ ট্রাক্টরের সাথে ধাক্কা মেরে আহত হয়েছে সাদ্দাম হোসেন (২৫)  ও আব্দুর রশিদ (২২)। দুজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া পূর্বপাড়ার মৃত শাকের আলী মিস্ত্রির ছেলে মোতালেব হোসেন সরোজগঞ্জ বাজারের আশাদুল স্টোরে লেবার হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল শুক্রবার কাজ শেষে তিনি অন্যদিনের মতো গতরাত ৯টার দিকে নেকবারের চা দোকানে যান। সেখানে চা পান শেষে বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। সরোজগঞ্জ বাজারের চৌরাস্তার মোড়ে পৌঁছুলে ঢাকাগামী একটি নৈশকোচ তাকে ধাক্কা দেয়। আছড়ে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আওলিয়ার রহমান রোগীর মৃত ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, পূর্বাশা পরিবহনের একটি কোচ তাকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত সরে পড়ে। মোতালেব হোসেন ছিলেন দরিদ্র। তিনি দু সন্তান ও স্ত্রী রেখে গেছেন। এদের ভিটের জমিটুকুও নিজের নয় বলে জানিয়ে স্থানীয় অনেকেই বলেছেন, কোচ মালিক যদি এদিকে একটু নজর দেন তাহলে দু সন্তান নিয়ে মোতালেবের স্ত্রী হয়তো বেঁচে থাকার মতো সাহস পাবে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রাখা ছিলো।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার উজিরপুর গ্রামের আশকার আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও একই গ্রামের মধু শেখের ছেলে আব্দুর রশিদ মোটরসাইকেলযোগে দামুড়হুদার দিকে ছুটছিলো। সন্ধ্যা ৭টার দিকে দামুড়হুদা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের উজিরপুর মোড়ের অদূরে থেমে থাকা কেরুজ আখ বহন করা ট্রাক্টরের সাথে ধাক্কা মারে। দুজনই মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। দ্রুত উদ্ধার করে তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অপরদিকে ভিমরুল্লার মোহাম্মদ আলীর চুয়াডাঙ্গা টিম্বারের মিস্ত্রি হাফিজুর রহমান কাজ করার সময় মেশিনে বাম হাত ঢুকে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। হাতের কয়েকটি আঙ্গুলের কিছু অংশ কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাকেও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। সে পাবনার ভাঙ্গুরা গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। এছাড়া দামুড়হুদা দশমিকর হান্নান মালিতা (৫০) নৈশপ্রহরীর কাজ করার জন্য চুয়াডাঙ্গা ইমাজের্ন্সি সড়কের হাজি মোজাম্মেল হকের বাড়ির উদ্দেশে বাইসাইকেলযোগে রওনা হয়ে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সাড়ে ৭টার দিকে দামুড়হুদা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের পুড়োপাড়া মোড়ে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত হন। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। মাথায় কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে।