ব্যাগিং পদ্ধতিতে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে বিদেশে রফতানির চেষ্টা চলছে

 

মেহেরপুর অফিস: শুধু আমই নয়, ব্যাগিং পদ্ধতির মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করা সম্ভব। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা বেগুন, কলা, পেয়ারা ও করলা উৎপাদন করতে পারবেন। এতে কমবে কীটনাশকের ব্যবহার। ভোক্তারাও খেতে পারবে নিরাপদ সবজি। ২০০৮ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহার ছিলো ৮৬০ কোটি টাকার। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদনে কৃষকরা আগ্রহী হওয়ায় ২০১৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৮০ কোটি টাকায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হলরুমে আয়োজিত ব্যাগিং পদ্ধতিতে নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদন শীর্ষক কর্মশালায় কথাগুলো বলেন, কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সরফউদ্দীন। তিনি আরও বলেন ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম উৎপাদন করে বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। এতে সফলতা পেয়েছেন কৃষকেরা। এবার ব্যাগিং পদ্ধতির মাধ্যমে বেগুন, কলা, পেয়ারা ও করলা উৎপাদন করে বিদেশে রফতানি করার চেষ্টা করছে সরকার। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ অফিসার স্বপন কুমার খাঁ। প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসার অধিদফতরের উপপরিচালক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মল্লিকা সীড কোম্পানির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এফআর. মালিক। উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম কামরুজ্জামান, মুজিবনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোফাকখারুল ইসলাম প্রমুখ। জেলার শাতাধিক কৃষক কর্মশালায় অংশ নেন। এ সময় নিরাপদ উপায়ে সবজি উৎপাদনে কলা, বেগুন, করলার ব্যাগ চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।