হাসাদাহ প্রতিনিধি: জীবননগর উপজেলা হাসাদাহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের চলতি মরসুমে ইক্ষুক্রয় কেন্দ্রের কাটাবাবু ওয়ালিদ ও সিডিএ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, এখানে গত কয়েক বছর ধরে বালিহুদা, পুরন্দরপুর, মাধবপুর, নতুন চাকলা ও কাঁটাপোল গ্রামের ইক্ষু চাষিদের উৎপাদিত আখ মাধবপুর সাব সেন্টারের মাধ্যমে কেনা হয়। তারই অংশ হিসেবে ২০১৬-১৭ মরসুমে আখ ক্রয় করা শুরু হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় যে, গত ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নতুন চাকলা গ্রামের আখচাষি মৃত মোহর আলীর ছেলে মুনতাজুর রহমান তার ক্ষেতের উৎপাদিত আখ মাধবপুর ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রির জন্য নিয়ে যান। কিন্তু সেখান থেকে কাটাবাবু কৌশলে তা হাত ছাপাইয়ের কাজ করেন। চাষি মুনতাজুর রহমান কাটাবাবু ওয়ালিদ সম্পর্কে আগে থেকে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়ে তিনি একটু চালাকি করে তার এক আটি আখ ওজন করে রাখেন এবং যার প্রত্যেকটি আখের আটির পরিমাণ একই মাপের বাধেন। যার ওজন ১ মণ ৪ কেজি। তিনি সর্বমোট ৪৯ আটি আখ কাটেন। এই বিষয়টি নিয়ে চাষি মুনতাজ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা সাংবাদিকদের জানান, ভুক্তভোগী মুনতাজ ওই দিন সকালে প্রথমে ২৪ আটি আখ মাধবপুর আখ সেন্টারে নিয়ে যান। কাটাবাবু যার পরিমাপ করে বলে ১২ মণ হয়েছে। পরে বিকেলে বাকি ২৫ আটি আখ মুনতাজুর রহমান সাথে করে নিয়ে যান। কিন্তু তখনও কাটাবাবু ওয়ালিদ সাহেব ওজনের পরিমাণটা বলেন ১২ মণ। পরে কাটাবাবু সর্বমোট ২৪ মণ আখের ওজন হয়েছে বলেন। কিন্তু ভুক্তভোগী মুনতাজ ও এলাকাবাসী যখন বিষয়টি নিয়ে কাটাবাবুর সিডিও মিজানুর রহমানের সাথে বিতর্ক করে চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে জানান, তখন কাটাবাবু ও সিডিএ তাদের ভুল হয়েছে এ কথা স্বীকার করে সর্বমোট ৩৯ মণ আখের দাম দেন। এলাকার আখচাষিদের অভিযোগ তাদের এতো কষ্টের অর্জিত ফসল যদি এইভাবে চুরি হয় তাহলে আগামীতে কৃষকেরা আখচাষের প্রতি আস্থা হারাবে। তাই তারা বলেন, রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে চাষিরা তাদের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে। তাই ওই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।