স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার আলিয়া মাদরাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং বিষায়ক ট্রেনিঙের উদ্বোধন করলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ মাননীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অনুষ্টিত উদ্বোধনী অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) আ. রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদউজ্জামান লিঠু ও চুয়াডাঙ্গা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ মাও. মীর মুহা. জান্নাত আলী। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হয়।
প্রধান অতিথি উদ্বোধনী বক্তব্যের শুরুতে বিজয়ের মাসে চুয়াডাঙ্গা মুক্তদিবসে সম্মুখ সমরে শহীদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে বলেন, যে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আমরা আজ ভোগ করতে শুরু করেছি, তার বীজ বপন করা হয়েছিলো ৭১’র পরবর্তী সময়ে। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রতিটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলতেন, আমি আমার বাংলার দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। ৯ মাসের যুদ্ধে বিধ্বস্ত বাঙালীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের যখন আলোর পথ দেখাতে শুরু করলেন তখন বাংলার দোসর, ঘাতক নরপিচাশরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু পারেনি। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আবারো বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের মানুষকে আলোর পথ দেখাতে শুরু করেছেন। এ আলোর পথ বেয়ে আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে। তবে আজ আর সেটি স্বপ্ন নয় সেটি সম্পদে পরিণত হয়েছে। আজ আমরা ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে ঘরে বসে লার্নিং ও আর্নিং করতে পারছি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সায়মা ইউনুস বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল কার্যক্রমে ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে। বিশেষ করে আইটি সেক্টরে বাংলাদেশের তরুণরা ঈর্ষণীয় সাফল্যে অর্জন করেছে। আমরা এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে ই-সেবার আওতায় আনতে পেরেছি। যা আমাদের কার্যক্রমকে বেগবান করেছে। উদ্বোধনী ও সমাপনী বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি ও সভাপতি ফিতে কেটে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবেরও উদ্বোধন করেন।