ক্ষতিপূরণের বিধান রেখে বিআরটিএ বিল পাস

 

স্টাফ রিপোর্টার: ভ্রমণকারী যাত্রীদের বাধ্যতামূলক জীবনবিমা ও কোনো দুর্ঘটনায় যাত্রীছাড়া অপর কোনো ব্যক্তি বা সম্পদের ক্ষতি হলে তিন মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিধান রেখে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বিআরটি আইন ২০১৬ বিল সংসদে পাস হয়েছে। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বুধবার বিলটি সংসদে পাস করার প্রস্তাব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিলের ওপর আনিত জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবসমুহ কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলে বিআরটি কর্তৃপক্ষকে দায় মুক্তি দিতে বলা হয়েছে, ফৌজদারী কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা পরিদর্শকের লিখিত প্রতিবেদন ছাড়া আদালত এই আইন বা বিধির অধীন কোনো মামলা বিচারার্থে গ্রহণ করতে পারবে না। এছাড়া বিলে সরকারি ও বেসরকারি অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে বিআরটি স্থাপন, পরিচালনা রক্ষনা-বেক্ষণ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে সরকার ছাড়া বিআরটি পরিচালনার জন্য সবাইকে লাইসেন্স নিতে হবে। বিলে অপরাধ ও দণ্ড প্রদানের ১৮টি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এতে কোনো লাইসেন্স গ্রহীতা বিআরটি বাস, যাত্রী বা সম্পদের বিমা না করলে ১০ বছরের দণ্ড ও ৫ কোটি টকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। একইসাথে লাইসেন্স ছাড়া বিআরটি পরিচালনা বা পূর্বানোমদন ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর করলে বা অননুমোদিতভাবে বিআরটি টিকেট বা পাস বিক্রি বা টিকেট ও পাস জাল করার দায়ে ১০ বছরের দণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। একইভাবে বিআরটি নির্মাণে কারিগরি মান অনুসরণ না করলে ৫ বছরের দণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানা, বিআরটি বাস ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্য ৫ বছরের দণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিআরটি বা যন্ত্রপাতি অপব্যবহারের দায়ে দুই বছরের দণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা, পরিদর্শকের কাজে বাধা দেয়ার জন্যও একই দণ্ড রাখা হয়েছে। এছাড়া বিনা টিকেট বা পাস ছাড়া বিআরটিএ বাসে ভ্রমণ করলে ভাড়ার ৫ গুণ অর্থদণ্ড বা তিন মাসের কারদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর সাথে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জনগণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন, দ্রুত ও আরামপ্রদ করাসহ স্বল্প ব্যয়ে দ্রুত ও উন্নত বাসভিত্তিক গণপরিবহণ সেবা প্রদানের জন্য বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) আইন ২০১৬ প্রণয়নের উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে।

কাউন্সিল আইন পাস: বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন পাস করেছে জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ রহিতক্রমে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬ বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ২০১১ সালে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশগুলো বাতিল হয়ে গেলে ওই আইনটি রহিত হয়ে যায়।