একজন মুক্তিযোদ্ধা থাকা পর্যন্ত রাজাকার আল বদরদের কোনো স্থান হবে না

চুয়াডাঙ্গা মুক্তদিবসের অনুষ্ঠানমালায় জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি

 

স্টাফ রিপোর্টার: গতকাল ৭ ডিসেম্বর ছিলো চুয়াডাঙ্গা মুক্তদিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদারদের হটিয়ে চুয়াডাঙ্গাকে মুক্ত ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ৪৫ বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পম্যাল্য অর্পণ করা হয়। সকাল ৭টায় বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরের শহীদ স্মৃতি ফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগমসহ আওয়ামী লীগ, মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এ উপলক্ষে দামুড়হুদার আটকবরে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক। এরপর সাড়ে ৯টায় মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর আট শহীদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা শ্রমিকলীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগ। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ৮ শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়। সকাল ১০টায় আট শহীদ মুক্তমঞ্চে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি। তিনি বক্তব্যে বলেন, জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। অর্জন করেছি লাল সবুজ পতাকা। সেই দেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা থাকা পর্যন্ত রাজাকার, আল বদরদের কোনো স্থান হবে না। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, সহসভাপতি নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক লিটু বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস আরা সুন্না, উপপ্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক, শ্রমিকলীগ সভাপতি আফজালুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নুরুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হালিম, শওকত আলী, গোলাম রসুল, আব্দুল মালেক, মন্টু মিয়া, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রনজু, যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের, সিরাজুল ইসলাম আসমান, রাশেদুজ্জামান বাকী, গোলাম মোস্তফা লালা, নুরুজ্জামান টুটুল, হাফিজুজ্জামান হাফু, মিলু, হকি, ডালিম, কালাম, মাসুম, ফিট্টু, শাহাজালাল, মিরাজুল ইসলাম কাবা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ আলী, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সাহাবুল, ছাত্রলীগ নেতা খালিদ মাহমুদ, অয়ন জোয়ার্দ্দার, আসাদ, আলিহিম, সোহেল, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপন, ইসরাইল, আলিফ, মিঠন, রাব্বি, জিয়ন, মামুন, রতন, জিয়ান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন শওকত আলী বিশ্বাস।

এদিকে, এ উপলক্ষে সন্ধ্যা ৬টায় শহীদ হাসান চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার এমপি। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চুয়াডাঙ্গা জেলা আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মাসুদ উজ্জামান লিটু বিশ্বাস, অ্যাড. আবদুল মালেক, যুবলীগ নেতা আরেফিন আলম রঞ্জু, আবদুল কাদের, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শান্ত, সাগর, ফজলু, রিপা প্রমুখ।