চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে চম্পট : চিকিৎসাপত্রে লেখা হলো পলাতক

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: চিকিৎসক তখনও রোজিনা খাতুনকে (৩০) মৃত ঘোষণা করেননি। অথচ মারা গেছে বলে খানেকটা চুরি করেই লাশ সরিয়ে নিয়েছে তার স্বামীসহ পাশে থাকা লোকজন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ সরিয়ে নেয়া হলে চিকিৎসক ওই রোগীর টিকিটে লেখেন পলাতক।

কেন দ্রুত সরিয়ে নেয়া হলো লাশ? কেউ বলেছেন, পুলিশি জটিলতা এড়াতেই লাশ সরিয়ে নিয়ে গতরাতেই নিজ গ্রাম চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের হাসনহাটি গ্রামের কবরস্থানে। সূত্র বলেছে, রোজিনার স্বামী শামীম রেজা মাঝে মাধ্যেই তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। দু সন্তানের জননী রোজিনা গতকাল সোমবার বাড়ি থেকে বের হয়। তাকে গ্রাম সংলগ্ন মাঠ থেকে উদ্ধার করে প্রথমে সরোজগঞ্জের হাতুড়ে ডাক্তার ফজলুর নিকট নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে নেয়া হয় সদর হাসপতালে। সন্ধ্যায় যখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তখনই তার শয্যাপাশে থাকা লোকজন লাশ সরিয়ে নেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এহসানুল হাসান মাসুমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রোগী পলাতাক।