ওরাও মানুষ ওদের অবহেলা নয় আগলে রেখে বাড়াতে হবে দক্ষতা

আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস : টেকসই ভবিষ্যত গড়ি : ১৭টি লক্ষ্য অর্জন করি প্রতিপাদ্য নিয়ে শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভা

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: গতকাল ছিলো আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। টেকসই ভবিষ্যত গড়ি- ১৭টি লক্ষ্য অর্জন করি প্রতিপাদ্যকে সমানে রেখে চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। পালিত কর্মসূচির মধ্যে ছিলো গণসচতেনতার লক্ষ্যে শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভা।

আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় শোভযাত্রা শেষে আলোচনাসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, প্রতিবন্ধীরা আর সমাজের বোঝা থাকবে না, বর্তমান সরকার যে ১৭টি কম্পোনেন্ট হাতে নিয়েছে তা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। প্রতিবন্ধীরাও পড়ালেখা শিখে বা বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, সমাজসেভা অধিদফতর ও এনজিওসমূহের আয়োজনে সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাশসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, সহকারী পুলিশ সুপার করিমুল্লা, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, আলমডাঙ্গার পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল সামি। প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কনসালটেন্ট ডা. সেলিম রেজা। কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সমন্বিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আব্দুল করিম। বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। সমাজসেবা অধিদফতর তাদের পুনর্বাসনে ঋণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। সহায়তা পেয়ে অনেক প্রতিবন্ধী আজ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন। প্রতিবন্ধীরা সমাজে বোঝা নন। যথাযথ সহায়তা পেয়ে তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রিসোর্স শিক্ষক মনোজ কান্তি রায়। এদিকে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে র‌্যালি শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার মিটিং রুমে আলোচনাসভায় অনুষ্ঠিত হয়। ডিআরআরএ ও এসএলএফ নেদারল্যান্ডের সহযোগিতায় আলোচনাসভায় প্রত্যাশার সমন্বয়কারী সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন ফিজিওথেরাপিস্ট জিএম জাকারিয়া হাসনাত, প্রাইড প্রকল্পের আরিফুর রহমান, আসাদুজ্জামান, হামিদুল ইসলাম ও মহিবুল হাবীব। সহযোগিতায় ছিলেন প্রকল্পের কোওয়ার্কার শারমিন আক্তার ও বিপুল হোসেন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের আয়োজনে শহরে র‌্যালি ও আলোচনাসভার মধ্যদিয়ে ২৫তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ১৮তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়েছে। বাজাসকপ, জাপ্রউফা ও মেহেরপুর জেলা এনজিও সমিতির সহযোগিতায় গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবীরের নেতৃত্বে র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ। জেলা সমাজসেবার উপপরিচালক দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবীর, জেলা উন্নয়ন ফোরামের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক রফিক-উল আলম, সমাজসেবা প্রতিনিধি শহীদ সাদিক, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা এনজিও সমিতির সভাপতি আলহাজ মোশারফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ আসকার আলী প্রমুখ। র‌্যালি ও আলোচনাসভায় মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন, এসপিডির প্রতিনিধি ওয়াজেদ খানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ র‌্যালিতে অংশ নেন। পরে সেখানে ৫ জন প্রতিবন্ধীর মধ্যে সহায়ক উপকরণ হিসেবে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।

 

Leave a comment