কুলাঙ্গার জাহিদুলকে শুধু পুলিশ নয় জনগণও খুঁজতে শুরু করেছে

প্রত্যয়ের পরিচালক আব্দুল আলিম ও তার সহযোগীকে জেলহাজতে প্রেরণ

 

স্টাফ রিপোর্টার/ডাকবাংলা প্রতিনিধি: পিতাকে অপহরণ করে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের শ্বাসরুদ্ধকর ঘরে আটকে রাখা কুলাঙ্গার জাহিদুলকে শুধু পুলিশ নয়, এলাকার সচেতন মানুষও খুঁজতে শুরু করেছে। যে ছেলে জমি-জমার লোভে পিতাকে নেশাখোর বানিয়ে বন্দি করে মস্তিষ্ক বিকৃত করার চক্রান্ত করেছে, তাকে ধরে পুলিশে দেয়ার জন্যই এ খোঁজ।

গতকাল শুক্রবার গোটা এলাকাজুড়ে কুলাঙ্গার ছেলে জাহিদুল ও চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরের প্রত্যয় মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক আব্দুল আলিমের অপকর্মের বিষয়টি ছিলো প্রধান আলোচ্য বিষয়। জাফরপুরের ইছাহক কাজির ছেলে আব্দুল আলিম ও তার এক সহযোগীকে পুলিশ পরশু গ্রেফতার করলেও গতকাল পর্যন্ত কুলাঙ্গার জাহিদুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। আব্দুল আলিম ও তার সহযোগী বদরগঞ্জ দশমীর রুবেলকে গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এদের রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এদিকে নির্যাতনের শিকার অসহায় পিতা ঝিনাইদহ জেলা সদরের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের আমিরুল ইসলাম (৬৫) ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, সরোজগঞ্জ বাজারের একটি জুতোর দোকানের সামনে থেকে মেরে ধরে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়। পরে নামানো হয় একটি স্থানে। রাখা হয় অন্ধকার ঘরে। আলো বাতাস নেই। খাওয়াও ঠিক মতো দিতো না। ছেলে আমার জমিজমা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই অপহরণ করে ঘরে আটকে নির্যাতন করতে থাক। ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ জেলা সদরের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামে আমিরুল ইসলাম (৬৫)। ১৮ নভেম্বর সরোজগঞ্জ বাজারের রাশিদুল ইসলামের জুতোর দোকানে বসে থাকা অবস্থায় ৭-৮ জন যুবক আমিরুল ইসলাম ওরফে ইসলাম উদ্দীনকে বেধড়ক পিটিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে চুয়াডাঙ্গা শহরের দিকে নেয়। বাড়ি ফিরে জাহিদুল ইসলাম প্রচার করে তার বাবাকে কে বা করা অপহরণ করে নিয়ে গেছে। গ্রামবাসীর চাপে ৪-৫ দিন পর ছেলে জাহিদুল জানায়, তার বাবা মাদকাসক্তি। তাই চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরের প্রত্যয় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, টাকার বিনিময়ে চুয়াডাঙ্গার প্রত্যয় মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন ভালো মানুষকেও সন্ত্রাসী কায়দায় তুলে নিয়ে সেখানে আটকে রাখে। বয়োবৃদ্ধ আমিরুল ইসলামের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার বৃদ্ধকে উদ্ধার করার পাশাপাশি দুজনকে আটক করে পুলিশ।