স্টাফ রিপোর্টার: ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইসের বিধ্বংসী ব্যাটিঙে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সহজ জয় পেলো ঢাকা ডায়নামাইটস। টুর্নামেন্টের ৩৪তম ম্যাচে ঢাকা ৪২ রানে হারিয়েছে রংপুরকে। এ জয়ে ১০ খেলায় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকলো ঢাকা। টানা চার ম্যাচ হেরে ১০ খেলায় ১০ পয়েন্ট সংগ্রহে নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানেই থাকলো রংপুর। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিঙে নামে ঢাকা ডায়নামাইটস। উদ্বোধনী জুটিতে রংপুর রাইডার্সের বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন মেহেদি মারুফ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইস। শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারার জায়গায় প্রথমবারের মতো এবারের আসরে খেলতে নামা লুইস ছিলেন বিধ্বংসী রূপে। মাত্র ২১ বলে ২টি চার ও ৬টি ছক্কায় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পান গেল সপ্তাহে জিস্বাবুয়ের মাটিতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা লুইস।
ব্যাট হাতে মারমুখী ছিলেন মারুফও। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩১ বলে ৪০ রানে ফিরেন তিনি। তবে লুইসের ব্যাট চড়ে বড় সংগ্রহের দিকেই এগুচ্ছিলো ঢাকা। ১০ ওভার শেষে ঢাকার স্কোর তেমনই বলছিলো-১ উইকেটে ১০৪ রান। তবে দলীয় ১২২ রানে লুইস ফিরে গেলে, রান তোলার গতি কমে যায় ঢাকার। ৮টি ছয় ও ৩টি চারে ৩৪ বলে ৭৫ রান করে ফিরেন লুইস। এরপর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো ও মোসাদ্দেক হোসেনের ছোট ছোট ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৮৮ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা। সাকিব ২০ বলে ২৯, ব্রাভো ১৩ বলে ১৬ ও মোসাদ্দেক ৯ বলে ১৪ রান করেন। রংপুরের রুবেল হোসেন ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন।
জবাবে শুরু থেকেই ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিতে থাকেন রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। ফলে ম্যাচ ছিটকে পড়ে রংপুর। শেষ পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের ৪৩ বলে ৬০ ও সোহাগ গাজীর ২৬ বলে ৩৬ রানের কল্যাণে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান পর্যন্ত যেতে সমর্থ হয় রংপুর। সপ্তম উইকেটে ৫৬ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন জিয়াউর ও গাজী। ঢাকার পক্ষে আবু জায়েদ ২০ রানে ৩ উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ঢাকার লুইস।
এশিয়া কাপে লজ্জার রেকর্ড গড়ে মেয়েদের হার
মাথাভাঙ্গা মনিটর: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দলীয় সর্বনিম্ন রানের বিশ্বরেকর্ড গড়ে এশিয়া কাপ ক্রিকেটে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে লজ্জার হারের স্বাদ পেলো বাংলাদেশের মেয়েরা। গতকাল বুধবার টুর্নামেন্টের নবম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। চতুর্থ ম্যাচে এটি দ্বিতীয় হার বাংলাদেশের। ব্যাংককের এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিঙে নামে বাংলাদেশ। পাকিস্তান বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ফলে ২৭ বল বাকি থাকতেই ৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। দলের পক্ষে দু’জন ব্যাটসম্যান দু’অংকের কোটা স্পর্শ করেছেন।
অধিনায়ক রুমানা আহমেদ ও জাহানারা আলম। রুমানা ১১ ও জাহানারা ১২ রান করেন। পাকিস্তানের সানা মির ৫ রানে ৩ উইকেট নেন। জবাবে ৬১ বল বাকি রেখেই জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। জাভেরিয়া খান ২৬ ও ইরাম জাভেদ ১৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর লিগ পর্বে নিজেদের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।