জীবননগর বাঁকা ইউনিয়নে ভাতা’র কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদে মাতৃত্বকালীন ভাতা’র কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে পরিষদের সদস্যদের সাথে ইউনিয়নের এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরোধ শেষ পর্যন্ত লঙ্কাকাণ্ডে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা পরিস্থিতি সামাল দিতে লোকজন নিয়ে দেশিয় অস্ত্রের মহড়া দেয়া হয়। গত সোমবার কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে দিনব্যাপী বিরোধ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তা মহড়া ও বাগবিতণ্ডের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার নবগঠিত বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে চলতি বছর ৫০টি মাতৃত্বকালীন ভাতা’র কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত কার্ডের অর্ধেক কার্ড স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ফরজ দাবি করেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান ও পরিষদের সদস্যরা কোনভাবেই অর্ধেক কার্ড দিতে রাজি হয়নি। আবার আওয়ামী লীগ নেতাও কোনভাবেই ছাড় দিতে রাজী নয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শেষ মেষ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে ১০টি কার্ড দিতে রাজি হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে ২৫টি কার্ড দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় ওয়ার্ড সদস্য আকবার আলী প্রতিবাদ করলে ওই নেতা তার ওপর চড়াও হয়ে অকথ্য গালিগালাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দীন মালিথাসহ অন্যান্য সদরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন। অবশেষে ওই নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ত্যাগ করে তার অনুসারীদের সাথে নিয়ে আবারো ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী আওয়ালীগ নেতা ফরজকে নিবৃত করতে প্রতিবাদ মুখর হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অবস্থা বেগতিক দেখে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সঙ্গীরা বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে বলে অভিযোগ করা হয়। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বাবলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে বরাদ্দকৃত কার্ডের অর্ধেক দাবি করে আওয়ামী লীগ নেতা ফরজ। কিন্তু ইউপি সদস্যরা এ কার্ড দিতে রাজি না হওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হয় বলে তিনি স্বীকার করেন।

Leave a comment