নজরুল ইসলাম: ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদের নির্বাচন হবার কথা রয়েছে। সে লক্ষ্যে জেলা নির্বাচন অফিস চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। খসড়া ভোটার তালিকায় ৫২৮ ভোটারের তালিকা প্রকাশ করা হলেও চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় ৪৫১ ভোটারের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ইউনিয়ন বিভক্তিকরণ ও আইনী জটিলতায় ভোটার হয়েও জেলা পরিষদ আইনে ৭৭ জন ভোট দিতে পারবে না। ইউনিয়ন বিভক্তিকরণে যারা মেধা খাটিয়ে জাল বুনিয়েছে আজ তারা নিজেদের জালে আটকা পড়েছে। ফলে তারা আজ ভোটার হয়েও ভোট দিতে পারবে না।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশের ৬১টি জেলার ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এ নির্বাচনে ক্ষমতসীন আ.লীগ ছাড়া অন্যকোনো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে বলে বিভিন্নসূত্রে জানা গেছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাদের নিজেদের পক্ষে নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও সাংবিধানিকভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। সে লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিস ১৭ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্র, ওয়ার্ড নির্ধারনসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে একটি খসড়া তালিকা প্রস্তুত করে। যেখানে ৪ পৌরসভা, ৪১ ইউনিয়ন নিয়ে ১৫ ওয়ার্ড এবং ৩০টি বুথ গঠন করা হয়। জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন মহলে আলোচনা তাকলেও তফশিল ঘোষণার পর তা সরব হয়ে ওঠে। সম্ভব্য প্রার্থীরা ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় এবং নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলো। গত ২৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনারের সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম স্বাক্ষিরিত প্রেরিত পত্রে উল্লেখ করা হয় যে সমস্থ ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত আছে তারাই ভোটার বলে বিবেচিত হবে। অন্যথায় নয়। সেক্ষেত্রে জেলার বেগমপুর, নেহালপুর, তিতুদহ, গড়াইটুপি, শঙ্করচন্দ্র, মাখালডাঙ্গা, হাইলী, পারকৃষ্ণপুর-মদনা, উথলী, মনোহরপুর, কেডিকে ইউনিয়ন নিয়ে আইনি জটিলতা মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত না বিভক্তিকরণসহ বিভিন্ন কারণে এ সমস্থ ইউনিয়নের মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা কেউ ভোটার হতে পারেননি। একটি সূত্র বলেছে, ইউনিয়ন বিভক্তি করণের পর সীমানা নির্ধারণ, ভোটার হওয়া ও ক্ষমতা আকড়ে রাখার জন্য অনেকেই কৌশলে উচ্চ আদালতে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ নিজেদের তৈরি করা ফাঁদে নিজেরাই আটকা পড়েছে। ফলে অন্যান্য ক্ষেত্রে তারা ভোটার হলেও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার হতে পারছেন না। আবার অনেকেই প্রার্থী হয়ে ভোটে অংশগ্রহণ করতে চাইলেও প্রস্তাবকারী এবং সমর্থনকারী না পেয়ে মনোনয়পত্র তুলতে পারছেন না। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান বলেন, জেলা পরিষদের নির্বাচন আইন মোতাবেকই অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য কে ভোটার হতে পারছে বা পারছে না আবার কে মনোনয়পত্র সংগ্রহ করে জমাদিয়ে বাদ পড়বে সবকিছু আইনে বলা আছে। তার ব্যাখা দেবার দয়িত্ব আমার না। নির্বাচন কিভাবে অবাধ ও সুষ্ঠ হবে সেটাই আমার একমাত্র কাজ।