চুয়াডাঙ্গা ডিবির মামলা : স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৫ এর রায়
স্টাফ রিপোর্টার: রূপা পাচারের দায়ে কুষ্টিয়া আমলাপাড়ার মিজানুর রহমান ডিউককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিজ্ঞ বিচারক তপন রায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডিত আসামি কুষ্টিয়া জেলা শহরের আমলাপাড়ার মিজানুর রহমান ডিউক বর্তমানে পলাতক রয়েছে। ফলে তার অবর্তমানেই এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডিত আসামি মিজানুর রহমানের পিতার নাম মসলেম উদ্দিন আহম্মেদ। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৫ জুলাই সকালে মোটরসাইকেলযোগে ১ কেজি ৯৫০ গ্রাম রূপা পাচার করছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন এএসআই নিয়াজ মোর্শেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের একাডেমি মোড় থেকে আটকের পর মিজানুর রহমান ডিউককে গোয়েন্দা দফতরে নিয়ে প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রুজু করা হয় মামলা। ডিবির তৎকালিন এসআই জিয়া মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন। তিনি তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৪ মে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (ক) (১) (খ) ধারায় চার্জশিট দাখিল করেন। অপরদিকে জামিনে মুক্ত হয়ে মিজানুর রহমান আত্মগোপন করে। ট্রাইব্যুনাল-৫ এ বিচার শুরু হয়। ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ পরীক্ষা করে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। আসামি গ্রেফতারের দিন থেকে সাজার মেয়াদ শুরু হবে।