মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি রিকুইজিস্টের (এমএসআর) দরপত্র স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার দরপত্র দাখিলের শেষ দিন ও দরপত্র খোলার পূর্ব নির্ধারিত দিন ছিলো। নোটিশ বোর্ডে সাময়িক স্থগিতের নোটিশ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আগ্রহী দরদাতারা। গতকাল দরপত্র দাখিলকৃত ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই নিয়মানুযায়ী চুড়ান্ত কার্যাদেশ দেয়ার দাবি করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ৫/৭ জন ঠিকাদার দরপত্র জমা দাখিল করেছেন বলে দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলন দাবি করেন মাহমুদ ফার্মেসী নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী রফিকুল ইসলাম। শহরের চক্রপাড়া মোড়ে অবস্থিত কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গতকাল সকালে তারা ওই দুটি প্রতিষ্ঠানে দরপত্র জমা দেন। এ সময় জানতে পারেন অনিবার্য কারণ দেখিয়ে দরপত্র দলিল জমার তারিখ স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এর মধ্যেও তারা ৫/৭ জন ঠিকাদার টেন্ডার বক্সে তাদের দরপত্র দাখিল করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারবাহিকতা নষ্ট করার জন্য দরপত্র বাতিলের চেষ্টা করা হচ্ছে। আজকের দরপত্র জমাকারির মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তা না হলে সিভিল সার্জন ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারী করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলেন জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হালিম ও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, অনিবার্য কারেণে দরপত্র দাখিলের তারিখ স্থগিত করা হয়েছে। দরপত্র বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী তারিখ জানানো হবে।
উল্লেখ্য, দরপত্রের মাধ্যমে দর ও চুড়ান্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা হয়। সরকারি বরাদ্দ সাপেক্ষে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধ-সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে দরপত্রের মাধ্যমে এক কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার ওষুধ ও সরঞ্জম কেনা হয়। এছাড়াও সিভিল সার্জন অফিসের দরপত্রের মাধ্যমে গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলার ১২টি সাব সেন্টারের জন্য ২৩ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৪ টাকার ওষুধ ও সরঞ্জম কেনা হয়। ওই দুটি কাজ পায় মাহমুদ ও সামসুল হক নামের দুজন ওষুধ ব্যবসায়ী।