জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটার হওয়া নিয়ে সংশয়
বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর, তিতুদহ ও শংঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিভাজন হয়ে ৬টি ইউনিয়ন ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ইউনিয়ন ভেঙে গেজেট প্রকাশ করা হলেও সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় হাইকোর্টে ৩টি রিট করা হয়েছে। এ রিটের কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ওই ৬টি ইউনিয়নে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এ জটিলতা কাটিয়ে না উঠলেও প্রথমবারের মতো সামনে হাজির হয়েছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। প্রশ্ন উঠেছে এ নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকার কেউ প্রার্থী এবং ভোটাররা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পরবে তো? সিদ্ধান্তহীনতার কারণে নির্বাচন অফিস এ সমস্থ ইউনিয়নে মনোনয় পত্র বিক্রি বন্ধ রেখেছে। যদিও একটি মনোনয়ন পত্র বিক্রি করেছে নির্বাচন অফিস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভৌগলিক ও জনসংখ্যার দিকটি বিবেচনা করে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখের ৬৮৬ নং পত্রের নির্দেশক্রমে এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধন আইন ২০০৯ এর ১১ ধারা মোতাবেক জেলা প্রশাসকের ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে ততকালীন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন ২৪ জুন ২০১৫ তারিখে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নকে বিভক্ত করে মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন, বেগমপুর ইউনিয়নকে বিভক্ত করে নেহালপুর ইউনিয়ন ও তিতুদহ ইউনিয়নকে বিভক্ত করে নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়ন নামে তিনটি নতুন ইউনিয়ন এবং শঙ্করচন্দ্র, বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নকে পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশিষ্ট মন্ত্রনালয়ে অনুলীপি প্রেরণ করেন। তারই আলোকে গত বছর ২৪ সেপ্টম্বর গেজেট প্রকাশিত হয়। গেজেট প্রকাশের পর সীমানা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয় হাইকোর্টে ৩টি রিট করা হয়। ফলে চলতি বছর দেশে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এ ৬টি ইউনিয়নে আইনি জটিলতার কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এরিমধ্যে আগামী ২৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে মাখালডাঙ্গা, নেহালপুর ও বেগমপুর ইউনিয়ন নিয়ে জেলা পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড। কুতুবপুর ইউনিয়ন বিভক্ত না হলেও ৪ নং ওয়ার্ডে পড়েছে তিতুদহ ও গড়াইটুপি ইউনিয়ন। যেখানে গড়াইটুপি এবং তিতুদহ ইউনিয়ন বিভক্ত নিয়ে হাইকোর্টে রিট রয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে এ নির্বাচনে ওই সমস্থ ইউনিয়নের কেউ প্রার্থী হওয়া এবং ভোটাররা ভোট দিতে পরবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। এ নিয়ে ইউনিয়নগুলোতে চলছে জল্পনা কল্পনা।
অপরদিকে জেলা নির্বাচন কমিশন এ সমস্থ ইউনিয়ন গুলোর মনোনয়নপত্র বিক্রি বন্ধ রেখেছে। যদিও একটি মনোনয়ন ইতোমধ্যেই বিক্রি করেছে নির্বাচন অফিস। এ বিষয়ে নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী যাদু বলেন, জেলা পরিষদের ৩নং ও ১৫ নং ওয়ার্ড নিয়ে প্রশ্ন থাকায় সেখানে মনোনয়নপত্র বিক্রি বন্ধ আছে। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচন অফিসের কাজ নির্বাচন করা। আর ইউনিয়ন নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে তা দেখবে স্থানীয় সরকার। যদি জটিলতা দেখাই দেয় তাহলেও ওই সমস্থ ইউনিয়নের ভোটার বাদেও জেলা পরিষদের ভোট করতে আইনগত কোনো জটিলতা নেই। তবে আগামী রোববার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।