হাসপাতালে স্বামীর লাশ রেখে পালিয়ে গেলো দ্বিতীয় স্ত্রী

জীবননগর একতারপুরের আলমগীর চুয়াডাঙ্গার হাটিকাটায় এসে বিষপান

 

স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর একতারপুরের আলমগীর হোসেন বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তিনি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটা গ্রামের খালা শাশুড়ি বাড়িতে এসে বিষপান করেন। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। আলমগীর মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার লোকজন লাশের কাছ থেকে সটকে পড়ে। প্রথম স্ত্রী জোসনা খাতুন ও তার লোকজন লাশ নিয়ে যেতে চাইলে হাসতাপাল কর্তৃপক্ষ আটকে দেন।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, জীবননগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) প্রথম বিয়ে করেন দামুড়হুদার মুক্তারপুর গ্রামে। তার রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে। প্রথম স্ত্রী ও সন্তান রেখে জীবননগর মনিকপুরে দ্বিতীয় বিয়ে আলমগীর। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকতো। গতকাল শনিবার আলমগীর হোসেন মানিকপুরে গিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটা গ্রামের বেড়াতে আসেন। সন্ধ্যায় বিষপান করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মারা যান।

প্রথম স্ত্রী জোসনা খাতুন জানান, আলমগীর বাড়ি থেকে দুপুরে বের হয়। বিকেলে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে সে জানায় ডুগডুগি হাটে আছি। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে না এলে আবারও মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। এ প্রান্ত থেকে অন্য ব্যক্তি ফোন ধরে বলেন এই মোবাইল যার সে বিষপান করেছে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসার পর দেখি মারা গেছে। তিনি আরও জানান, শয্যাপাশে দ্বিতীয় স্ত্রী রয়েছে। জোসনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ওই দ্বিতীয় স্ত্রী লতায় বিষ খাইয়েছে। ও আমার স্বামীকে হত্যা করেছে।

এদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী লতা খাতুন জানান, আমরা হাতিকাটায় আত্মীয়বাড়ি বেড়াতে আসি। বাড়ি ঢোকার আগে সে কোথাও থেকে বিষপান করে। আমরা টের পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তারপরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.রাজিবুল ইসলাম জানান, আলমগীর হোসেন মারা যাওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এসআই মহাসিন আলী লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করতে এসে কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে লাশ নিয়ে যাওয়া প্রস্তুতি নেন। খবর পেয়ে আমি (ডা. রাজিবুল ইসলাম) বাঁধা দিই। এ সময় এসআই মাহাসিন আলীর সাথে সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লাশ রেখে এসআই মহাসিন আলী চলে যান। লাশ হাসপাতালে রাখা আছে।

 

Leave a comment