২৮০০ কোটি টাকা জমা দিলে ডেসটিনির দুই কর্ণধারের জামিন

 

স্টাফ রিপোর্টার: গাছ বিক্রি করে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে পারলে জামিন পাবেন ডেসটিনির দুই কর্ণধার রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে ৩৫ লাখ গাছ বিক্রি করে তাদেরকে এই টাকা জমা দিতে হবে। টাকা জমা দেয়ার কপি নিম্ন আদালতে দাখিল করলেই তারা জামিনে মুক্তি পাবেন। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদেশে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া এই টাকা ডেসটিনির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের মাঝে বিতরণ করার জন্য দুদক চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

দুদকের কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ডেসটিনির দুই কর্ণধারের আইনজীবী আদালতে বলেছেন, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডেসটিনির ৩৫ লাখ গাছ রোপণ করা রয়েছে। তারা এই গাছ বিক্রি করে টাকা জমা দিয়ে জামিন পেতে পারেন। তিনি বলেন, প্রতিটি গাছের দাম তাদের পক্ষ থেকে আট হাজার টাকা করে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত বলেছে, বিক্রয়যোগ্য এসব গাছ বিক্রি করে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। যদি এই টাকা দিতে না পারে তাহলে তাদের আড়াই হাজার কোটি টাকা জমা দিতে হবে। শর্তপূরণ করলেই তারা জামিন পাবেন বলে আপিলের বিভাগে আদেশ উল্লেখ করা হয়েছে। ডেসটিনিরি পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসন কিউসি।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ থেকে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্য থেকে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা আত্নসাত করে পাচারের অভিযোগে রাজধানীর কলাবাগান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। বর্তমানে এই মামলায় দুজনই কারাগারে রয়েছেন।