অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ গয়নাগাটি লুট : প্রতিরোধের মুখে বোমা বিস্ফোরণ
আমঝুপি প্রতিনিধি: মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে একই রাতে বোমা ফাটিয়ে প্রবাসীর বাড়িসহ দুই বাড়িতে ডাকাতি করেছে ডাকাতদল। শুক্রবার রাতে অস্ত্রধারী ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকদের জিম্মি করে দশ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। ডাকাতি শেষে পলিয়ে যাওয়ার সময় গৃহকর্তার চিৎকারে গ্রামবাসী প্রতিরোধে গড়ে তোলে। এ সময় ডাকাতদল পরপর তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তবে পুলিশ বলেছে ডাকাতির ঘটনা তারা কিছু জানে না বা তাদের কেউ কিছু জানায়নি।
গ্রামবাসী জানায়, শুক্রবার দিনগত ১টার দিকে মেহেরপুর পিরোচপুর ইউনিয়নের শিমুলতলার গ্রামের উত্তরপাড়ায় ১২-১৪ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল গ্রামে প্রবেশ করে, প্রথমে ইদ্রিস আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেনেকে তার চায়ের দোকানে মধ্যে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ কিছু টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে গ্রামেরই মৃত বাশি শেখের নুর হোসেন শেখের বাড়িতে ঢুকে শিশু সন্তানসহ সকলকে অস্ত্রেও মুখে জিম্মি করে নগদ ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, ১৫টি শাড়ি ও দেড় ভরি সোনার চেন ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে নিয়ে একই পাড়ার মৃত মুনছুর আলীর ছেলে জহীর উদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশ করে একই কৌশলে জিম্মি করে দুই জোড়া সোনার চেন, দুই জোড়া কানের দুল, এক জোড়া হাতের বালা, এক জোড়া পয়ের নুপুর, দুইটি মোবাইলফোন ও নগদ ৪ হাজার টাকা ডাকাতি করে। এ সময় গৃহকর্তার চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে গেলে পরপর তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতদলের মাঠের দিকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ডাকাতির শিকার দুই বাড়ির মহিলারা অভিযোগ করেছেন, ডাকাতদল সুযোগ পেয়ে তাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
দীর্ঘসময় ধরে অস্ত্রেও মুখে শিশু সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ডাকাতি এবং ডাকাতির পর, পরপর ৩টি বোমার বিস্ফোরণে এলাকা প্রকম্পিত হলেও পুলিশ না আশায় বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে এলাকাবাসীকে ।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন- ডাকাতির ঘটনা তার জানা নেই। এছাড়া কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি।