তারেকের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা

 

স্টাফ রিপোর্টার: সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এই পরোয়ানা জারি করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে এ মামলা পরিচালনাকারী বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল জানান, আপিল বিভাগে হাইকোর্টের দেয়া সাজার আদেশের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের আবেদন খারিজ হয়। ফলে হাইকোর্টের দেয়া সাজার আদেশ বহাল থাকে। তিনি জানান, আপিল বিভাগের ওই আদেশের কপি বিচারিক আদালত আসে। নথিসূত্রে এ মামলায় তারেক রহমান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে এ সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। নিম্ন আদালতে তারেক রহমানকে খালাস দেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের যুগ্ম বেঞ্চ চলতি বছরের গত ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থপাচার মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. মোতাহার হোসেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি বলে তাকে বেকসুর খালাস দেন। অন্যদিকে তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন- ২০০২ এর ১৩(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দিতে নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএ-তে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের মে মাসে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বিদেশে চিকিৎসা করাতে যান তারেক রহমান। আদালত আদেশ দিলেও ফিরে না আসায় তাকে পলাতক দেখিয়ে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।